ব্যান্ডউইথের দাম কমলেও ইন্টারনেটের কমেনি

৭২ হাজার টাকার ব্যান্ডউইথ ৬৫০ টাকায় নেমে এলেও ইন্টারনেট গ্রাহকদের কোনো লাভ হয়নি। এই ব্যান্ডউইথের দাম কমার সুফল শতভাগ হাতিয়ে নিচ্ছেন মোবাইল অপারেটরগুলো।

১১ বছরে ব্যান্ডউইথের দাম কয়েক দফায় কমলেও গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য কমেনি। এনিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করলেও মোবাইল অপারেটরগুলোর দৃষ্টি সেদিকে নেই। তবে খুশির খবর হচ্ছে, মোবাইল ফোন অপারেটর, অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, ওয়াইম্যাক্স অপারেটরদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের খরচ কমিয়ে আনার নোটিশ দিয়েছে বিটিআরসি।

সূত্রে জানা যায়, দেশে ২০০৪ সালে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। তখন প্রতি মেগাবাইট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ৭২ হাজার টাকা। এর ১১ বছর পরে এসে দাম হয়েছে ৬২৫ টাকা। কিন্তু দাম কমানোর বিপরীত চিত্রে কমেনি মোবাইলভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার ব্যয়।

বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সকল ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে লেখা হয়েছে, সরকার বিভিন্ন ইন্টারনেট পণ্যের কাঁচামালের দাম কমিয়ে দিয়েছে আর এই সুবিধা গ্রাহক পর্যায়ের ব্যবহারকারীদের পাওয়া উচিত। ইন্টারনেট গ্রাহক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার বিপরীতে ইন্টারনেটের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকের কাছে ইন্টারনেটের মূল্য এখনও বেশি বলেই প্রতীয়মান হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য ইন্টারনেটের মূল্য কমাতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও রেগুলেটর ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমানোর কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়েও ফিডব্যাক চেয়েছে। তবে অপারেটররা বলছে, তারা গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট খরচ কমিয়ে স্পিড উন্নত করেছে। ৩০ মার্চ লেখা সেই চিঠির কপি সকল মোবাইল ফোন অপারেটর, মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, ওয়াইম্যাক্স অপারেটরদের দেওয়া হয়েছে।

এরপর এপ্রিল মাসের শেষদিকে আরও একবার এ বিষয়ে অপারেটরগুলোকে তাগাদাও দিয়েছে বিটিআরসি। চিঠিতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয় অপারেটরগুলোকে। কিন্তু টেলিকম বিশ্লেষকরা বলছেন বাজারে ইন্টারনেট খরচের এধরনের কোনো নিয়ন্ত্রক নেই।

এ বিষয়ে বিটিআরসি`র চেয়ারম্যান ড. শাজাহান মাহমুদ বলেন, সরকার চায় দেশের মানুষ কম পয়সায় ইন্টারনেট ব্যাবহার করুক। অধিক মুনাফা লোভী অপারেটরদের কারণে তা হয়ে উঠছে না।

তিনি জানান, বিটিআরসি`র কাছে কোনো ইন্টারনেট মূল্যের খরচের মডেল তালিকা নেই অথবা এমন কোনো টুল নেই যা দিয়ে তারা সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে পারে। তবে কয়েক বছর আগে, বিটিআরসি ভয়েস কল সেগমেন্টের উপর ব্যয় মডেলিং পরিচালনা করেন যেখানে মূল্যের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।

রেগুলেটরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিটিআরসি ইন্টারনেট মূল্যের ব্যাপারে কখনই কোনো উদ্যোগ নেয়নি।



মন্তব্য চালু নেই