ব্যাথানাশক ওষুধের কাজ করে যেসব খাবার
আমাদের প্রতিদিনকার জীবনযাপনে চলতে ফিরতে নানা কারণে ব্যথা লাগতেই পারে। এমনটা হলেই আমরা সাধারণত যেসব পেইনকিলার বা ব্যাথানাশক ওষুধ সেবন করি তা আমাদের শরীর ও মস্তিষ্কে নানা বিরুপ প্রভাব ফেলে। নিয়মিত পেইনকিলার সেবন করলে আমাদের ফুসফুস, পাকস্থলি, অন্ত্র, লিভার, মাংসপেশি, কিডনি সহ শরীরের একাধিক অঙ্গ তাদের কর্মক্ষমতা হারাতে শুরু করে। ফলে দেখা দেয় নানা জটিল রোগ।
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে এমন কিছু ঘরোয়া পেইনকিলার নিয়ে আলোচনা করা হল যেসব ওষুধের কোনও সাইড এফেক্ট না থাকায় শরীরের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কাও থাকে না।
১। হলুদ-
ব্যথা কমাতে এই মশলাটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। কারণ কি জানেন? হলুদে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ইনফ্লমেটরি উপাদান, যা যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি ফোলা ভাব কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রসঙ্গত, বাজার চলতি একাধিক জনপ্রিয় পেইনকিলার থেকে কোনও অংশে কম কাজে আসে না এই ঘরোয়া ওষুধটি। তাই এবার থেকে শরীরের কোথাও চোট-আঘাত লাগলে এক গ্লাস দুধে হলুদ মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন আনেক আরাম পাবেন।
২। আদা-
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় যন্ত্রণা কমাতে আদা দারুণ কাজে দেয়। বিশেষত, আর্থ্রারাইটিস, পাকস্থলির যন্ত্রণা, চেস্ট পেন, পিরিয়ডের যন্ত্রণা এবং মাংসপেশির ব্যথা কমাতে আদার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। যে জায়গায় যন্ত্রণা হচ্ছে সেখানে অল্প করে আদা বেটে লাগিয়ে দিন অথবা আদা চা খেলেই হাতেনাতে ফল পাবেন।
৩। পুদিনা পাতা-
মাংসপেশিতে যন্ত্রণা হচ্ছে বা দাঁতের যন্ত্রণায় মাঝে মাঝেই কাবু হয়ে পড়েন? চিন্তা নেই এবার থেকে এমনটা হলেই এক মুঠো পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন। অল্প সময়ের মধ্যেই দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। প্রসঙ্গত, মাথা যন্ত্রণা, স্নায়ুর ব্যাথা এবং এমনকী পেটের নানা গোলযোগ সারাতেও এটি দারুণ কাজে দেয়।
৪। লবণ-
গোসল করার সময় ১০-১৫ চামচ লবণ পানিতে মিশিয়ে দিন। তরপর সেই পানিতে কম করে ১৫ মিনিট শুয়ে থাকুন। এমনটা করলে দেখবেন প্রদাহ বা যন্ত্রণা কমতে শুরু করবে। লবণ দেহকোষকে তরতাজা করে তোলে। ফলে যন্ত্রণার প্রকোপ কমে যায়।
৫। সোয়াবিন-
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা অনুসারে আর্থ্রাইটিস, বিশেষত অস্টিওআর্থ্রারাইটিসের যন্ত্রণা কমাতে সোয়া প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সোয়াতে ইসোফ্লেবোনস নামে একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা প্রদাহ কমায়। তাই আপনি যদি আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন সোয়া মিল্ক।
৬। ঝাল মরিচ-
খাবারে অর্ধেক চামচ ঝাল মরিচ মিশিয়ে সেই খাবার খেয়ে ফেলুন। অল্প সময়ের মধ্যেই যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমে যাবে। আসলে মরিচে কেপসাইসিন নামে একটি উপাদান থাকে, যা ব্যথা কমায়।
মন্তব্য চালু নেই