‘ব্যাড বয়’ মেসি ও তার সাগরেদরা

ক্ষ্যাপাটেপনার জন্য ইতালির মারিও বালোতেল্লি কিংবা উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজকে ফুটবলের ‘ব্যাড বয়’ বলে ডাকা হয়।

কিন্তু ইদানিং মেসির বিরুদ্ধেও কেউ কেউ ওই একই তকমা ব্যবহার করতে চাইছেন। ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনার নতুন কোচ লুইস এনরিকের ভবিষ্যত ঘোলা করার নেপথ্যে নাকি ফুটবলের ক্ষুদে যাদুকরই। অন্তত মাদ্রিদ ভিত্তিক ‘স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা’র অভিমত তেমনটি। আর ঠিক এই কারণেই ‘বার্সার ব্যাড বয়’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছেপেছে পত্রিকাটি। যাতে মেসিকে ব্যাড বয় হিসেবে উপস্থাপন করেছে পত্রিকাটি। আর তার সাগরেদ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে ইয়োহান ক্রুইফ, বানার্ড সুস্টার ও রোমারিওদের।

ক্রুইফ-ভেসভেলার:
১৯৭৬ সালে বার্সেলোনা ও সেভিয়ার মধ্যকার একটি ম্যাচে নেদারল্যান্ড কিংবদন্তি ক্রুইফকে প্রথম ৭০ মিনিট খেলাননি তৎকালীন বার্সা কোচ হেনেস ভেসভেলার। আর ওই ম্যাচটি হেরেছিল বুলাগ্রানারা। যাতে করে দারুণ ক্ষেপেছিলেন টোটাল ফুটবলের অন্যতম রূপকার ক্রুইফ। আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন বার্সার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নুনেজকে, ‘হয় আমাকে রাখুন, নতুবা তাকে (ভেসভেলার) সরান।’ এর ফলশ্রুতিতে কাতালন শিবিরে মাত্র একটি বছর থেকেই চাকরি হারিয়েছিল জার্মান ম্যানেজার।

সুস্টার-বার্সা:
কোচ নয়, বানার্ড সুস্টারের বিদ্রোহটা ছিল খোদ ক্লাবের বিরুদ্ধেই। নব্বইয়ের দশকে বার্সাকে স্প্যানিশ লা লিগা উপহার দেয়া জার্মান মিডফিল্ডার বিভিন্ন সময় ক্লাবের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এতে করে টিম ম্যানেজম্যান্ট নিজেদের সবেধন নীলমনি সুস্টারের ওপর বীরূপ মনোভাব দেখাতে লাগে। এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৯৮৮ সালে বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শিবির রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন সুস্টার।

রোমারিও-ক্রুইফ:
যে ক্রুইফ এক সময় ভেসভেলারের মতো একজন ঝানু কোচকে সরিয়ে দিতে কলকাঠি নেড়েছিলেন, তার কোচিং ক্যারিয়ারেও তেমন একজন ফুটবলার ছিলেন ন্যু ক্যাম্পে। তিনি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রোমারিও। বিভিন্ন সময় ডাচ কিংবদন্তির অনেক সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সেলেসাও ফুটবলার, কোচের সঙ্গে মুখেমুখে কথা বলারও ঔদ্ধ্যত্ব দেখিয়েছিলেন রোমারিও। পরে যা নিয়ে আফসোস করেন ক্রুইফ, জানান রোমারিও দল থেকে তখন বাদ দেয়া উচিত ছিল। সূত্র: দ্য মার্কা।



মন্তব্য চালু নেই