ব্যাটে বলে না মিললে খেলা জমে নাঃ টয়া
২০১১ সালের ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার সেরা পাঁচে থাকা টয়া বর্তমানে বেশকিছু নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয় করছেন। তবে মেজবাউর রহমান সুমন নির্মিত গ্রামীণফোনের ‘ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স’ বিজ্ঞাপনচিত্রে অনন্ত জলিলের সাথে মডেল হয়ে টয়া বেশ জনপ্রিয়তা পান।
বাবা মায়ের খুব বাধ্য মেয়ে টয়া; আদরেরও বটে। তাই বলে বড় বোন খেয়াও যে কম আদরের তা নয়। বাবা মা আর বড় বোনের পুরোটা সমর্থন ছিলো বলেই আজকে তার এ অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
বর্তমানে বড় পর্দার জন্য অনেক প্রস্তাব পাচ্ছেন এই সুন্দরী। কিন্তু তার মুহূর্তে ছোট পর্দায়ই কাজ করতে ভালো লাগছে। টয়া বলেন, ‘আপাতত বড় পর্দায় কাজ করার ইচ্ছে তেমন নেই। তবে কথায় আছে না ‘ব্যাটে বলে না মিললে খেলা জমে না’ ? তেমনি ব্যাটে বলে মেলাতে আমাকেও আরো অনেক কিছুই শিখতে হবে।’
বড় পর্দার জায়গাটা অনেক বড় পরিসর বলে মনে করেন এ তারকা। তাই বড় পর্দার অভিনয়টাতে আরো প্রস্তুতি নিয়ে পা রাখতে চান। তাই বলে ছোটপর্দায় পিছিয়ে নেই তিনি। লাক্স থেকে বের হবার পর রুমানা রশীদ ঈশিতার ‘অদেখা মেঘের কাব্য’ নাটকের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করেন।
এরপর ‘পৌষ ফাগুনের পালা’, ‘ছায়াবৃতা’, ‘ইউনিভার্সিটি’, ‘টো টো কোম্পানি’ ও ‘লেলিতা’ নামের ধারাবাহিক নাটকসহ ‘ভালোবাসা ১০১’, ‘নোয়াখালী টু চিটাগং জার্নি অব ম্যারেজ’, ‘না শুনতে রাজি না’, ‘দ্য ফাইনাল চ্যাপ্টার’, ‘অনেস্টি ইজ দ্য বেস্ট পলিসি’ নামে বেশকিছু খণ্ড নাটকে অভিনয় করেন।
বর্তমানে আফসানা মিমি ও রাকেশের ‘সাতটি তারার তিমির‘, জয়ন্তর ‘থ্রিজি’ এবং রেদওয়ান রনির ‘ঝাল মুড়ি’সহ বেশকিছু ধারাবাহিকে কাজ করছেন। আর ভালোবাসা দিবসে বাংলাভিশনে প্রচার হয় ক্লোজ আপ কাছে আসার গল্প সিরিজের ‘প্রতীক্ষা’ নাটকে অভিনয় করেছেন।
খণ্ড বা ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধারাবাহিক নাটকটাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন টয়া। এর কারণ হিসেবে জানালেন, ধারাবাহিক নাটকের মাধ্যমে নিজেকে একটা চরিত্রের মধ্যে রাখা যায় এবং সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। আর কোনো ভুল হলে তা শুধরে নেবার সুযোগও থাকে।
গ্রামীন ফোনের পর ‘ফ্রুটফিল’, ‘ফেমিকন’, ‘প্রাণ বাবল গাম’সহ বেশকিছু বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে কাজ করেন তিনি। অভিনয়ের বিষয়ে নিজের পছন্দ নিয়ে জানতে চাইলে টয়া বলেন, অন্ধ চরিত্রে অভিনয় করা আমার অনেক বড় স্বপ্ন। লাল রঙ টা কেমন অন্ধ চরিত্রের মাধ্যমে সেটা জানতে চাই। তবে এখনও তো এমন চরিত্রে কাজের সুযোগ আসেনি। তবে মনে মনে খুঁজছি।’
সবশেষে এ তারকার বিয়ে নিয়ে ভাবনা কি ? জানতে চাইলে বললেন, ‘বিয়ে! এটা তো আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিয়েছি। আর বিয়ের বিষয়ে বাবা-মার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত। তবে বড় আপার সঙ্গে আমার বয়সের পার্থক্য খুব বেশি না থাকার কারণে তো আমাকে এখনি শুশুড়বাড়ি পাঠিয়ে দিতে চায়। হা হা হা…
মন্তব্য চালু নেই