বোমা ফাটালেন আফ্রিদি

টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। এখন চালিয়ে যাচ্ছেন শুধু টি-টোয়েন্টি। এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে পাকিস্তানের অধিনায়কও তিনি।

১৬ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাওয়াশ হয়েছে সফরকারীরা। এরপর তাদের সামনে সুযোগ এসেছিল টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু ভাগ্যদেবী মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন অন্যদিকে, অসহায় পাকিস্তানের দিকে একবার তাকালেনই না!

সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টাইগারদের কাছে ৭ উইকেটে উড়ে গেল পাকিস্তান। পরাজিত দলের অধিনায়ক হিসেবে শহীদ আফ্রিদির হৃদয়টা বোধহয় পুরে ছাড়খার হয়ে গেছে। কী আর করার!

ম্যাচটিতে হেরে বেশ খানিকটা চুপ ছিলেন তিনি। কিন্তু হৃদয়ে হয়তো ক্ষোভটা চাপাই রেখেছিলেন। আর সেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে। শেষ সংবাদ সম্মেলনে যা বলছেন, তাতে বাংলাদেশি আম্পায়ারদের একহাত নেওয়ার চেষ্টাই করলেন পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আফ্রিদি।

ম্যাচে ব্যাট হাতে ১২ রান করার সৌভাগ্য হয় আফ্রিদির। এরপর বাংলাদেশের অভিষিক্ত পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হন তিনি। ওই আউট নিয়ে রিভিউ চেয়েছিলেন পাকিস্তান দলপতি। না পেয়ে মাঠেই বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। সেই আউটটি আউট ছিল না বলে এখনও দাবি করছেন আফ্রিদি।

বাংলাদেশি আম্পায়ারদের তিনি খোঁচালেন এভাবে, ‘মানুষের ভুল হতেই পারে। ম্যাচ রেফারি ছিল, সে দেখেছে। আইসিসি দেখেছে। কখনো কখনো একটি সিদ্ধান্ত ম্যাচের মোড় পাল্টে দেয়।’

সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক তিনি। অথচ ম্যাচটিতে রিভিউ সিস্টেম ছিল না, এ বিষয়টি নাকি জানতেনই না আফ্রিদি। এটি হঠকারিতা নয় কি? রিভিউর বিষয়ে জানা না থাকায় আম্পায়ারের কাছে আবেদন করেছিলেন আফ্রিদি!

শোনা যাক পাকিস্তান অধিনায়কের ভাষায়, ‘আমি আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, আসলে আমার দৃষ্টিতে ওটা আউট ছিল না। আমি ভেবেছিলাম, ডিআরএস আছে। ওয়ানডেতে ছিল বলেই আমি আবেদন করেছিলাম। টি-টোয়েন্টিতে এই সিস্টেম নেই, সেটা আমি জানতাম না। কেননা আমি ম্যাচ রেফারির মিটিংয়ে ছিলাম না।’



মন্তব্য চালু নেই