বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম
রাজধানীর বাজারগুলোতে দুই দিন আগেও প্রতিকেজি সয়াবিন (লুজ) তেল ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু দু’দিন পর অর্থাৎ শুক্রবার সেই তেলই বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮৫ টাকা থেকে ৯৫ টাকায়। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলে ৫ টাকা ১০ টাকা বেড়েছে। তবে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) হিসেব মতে, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি সয়াবিন (লুজ) তেল ৭৮ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে তেলের (লুজ) দাম ৩ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা থেকে ৮৩ টাকায়। তবে কী কারণে দাম বেড়েছে তা সংস্থাটি জানায়নি।
এদিকে, সয়াবিন তেলের দাম কী কারণে বেড়েছে ব্যবসায়িদের সঙ্গে আলাপকালে তা জানাতে পারেনি তারা। কাপ্তানবাজার শরীয়তপুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাজী শামসুল আমিন বলেন, ‘দুই তিন ধরে বেশি দামে তেল কিনতে হচ্ছে। তাই আমরা প্রতিকেজিতে সামান্য বাড়িয়ে বিক্রি করছি।’ তবে কী কারণে তেলের দাম বেড়েছে তা স্পষ্ট করে তিনিও বলতে পারছেন না।
এদিকে, সয়াবিন তেল ছাড়াও বাজারে দেশি ও আমদানি করা রসুন, দেশি ডালের দাম বেড়েছে।
শুক্রবার প্রতিকেজি দেশি রসুন ১১০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা), আমদানি করা রসুন ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা), দেশি মসুর ডাল ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ১২৫ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা) বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামবাজারের পিঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ী মেসার্স রাজু ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. রাজু আহমেদ জানান, রসুন আমদানি কমেছে বলে দাম সামান্য বেড়েছে।
ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডালের সিজন শেষ হয়ে গেছে। ফলে, চাহিদা অনুযায়ী আমদানি কম।’ তাই ডালের দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।
তবে, রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন পণ্যের দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালেই আছে। শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে এমনটিই জানা গেছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, স্বামীবাগ, কাপ্তানবাজার, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, সাদা গোলাকার বেগুন ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, টমেটো ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, গাজর ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, শশা ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়, করলা ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, ঝিঞ্জা ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, পটল ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, কাকরুল ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, ওস্তা ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, পেঁপে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, জলপাই ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, দোন্দল ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, বরবটি ৩৫ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়, কচুর ছড়ি ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, লতি ৩০ টাকা ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সাদা গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়। এছাড়া, প্রতিকেজি নতুন গোল আলু ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৩৫ টাকায় এবং ছোট লাউ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা এবং বড় কুমড়া ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি ভারতীয় পিঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, মানভেদে প্রতিকেজি দেশি পিঁয়াজ ৫৪ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপর দিকে, খুচরা বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি হাঁসের ডিম ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারী বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায় (একশ)।
বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি (সাদা) বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা ১৪০টাকা। ব্রয়লার মুরগি (লাল) ১৪০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা থেকে ৬২০ টাকায়।
মন্তব্য চালু নেই