বেড়েই চলছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুয়ায়ী কোনো দেশের তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে এমন পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভ দিয়ে আট মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স কিছুটা কমলেও বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হয়েছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হচ্ছে ৩২.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত এক বছরেই বেড়েছে ৪৬০ কোটি ডলার।
২০১৬ সালের ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ ছিল ২৭.৪৯ বিলিয়ন ডলার। এই সংখ্যার রিজার্ভ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের আমদানির বাণিজ্যর হিসাবে প্রতিমাসে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। সে হিসাবে বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ৮ মাসের ব্যয় মেটানে সম্ভব।
রেমিটেন্স কিছুটা কমলেও পোশাক খাতকে সঙ্গে নিয়ে দুটোর ওপর ভর করেই রিজার্ভ বাড়ছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এর আগে ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বরে রিজার্ভ ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ কম।
প্রসঙ্গত, গত সাত বছর ধরেই একটানা বেড়ে চলেছে রিজার্ভ। রেকর্ড পরিমাণের এই রিজার্ভ দিয়ে সরকারের বড় অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের চিন্তা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে মতাতমত চাওয়া হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, রিজার্ভেরি একটি অংশ কিভাবে বিনিয়োগে আনা যায় তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক একমত হয়েছে। এখন কৌশলপত্র তৈরি করা হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই