বেলাভূমে ভেসে আসছে হাজারো মৃত জেলিফিশ
কুয়াকাটা সৈকতের বেলাভূমে ভেসে আসছে হাজারো মৃত জেলিফিশ। আটকে থাকা জেলিফিশগুলো পচে-গলে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে।
সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা বিষয়টি দেখতে পান। কুয়াকাটা মূল সৈকতের প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জেলিফিশগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আটকে যাচ্ছে। জেলিফিশগুলো এখনই সংগ্রহ করে মাটি চাপা দেওয়ার উদ্যোগ না নিলে দুর্গন্ধে সৈকতের পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, সাগরে জাল পাতলে ধরা পড়ছে জেলিফিশ। আশার আলো মৎসজীবী জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম শেখ জানান, সাগরে জাল ধরলে জেলিফিশ আটকা পড়ে। গত তিন/চারদিন ধরে এমন অবস্থা চলছে।
জেলে আব্দুল মজিদ জানান, তিন-চার দিন সাগরে জেলিফিশের কারণে জাল পাততে পারছেন না তারা। তাদের ভাষায় এগুলো সাগরের নোনা। বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফার তৈয়ুবুর ও সাদেক জানালেন একই কথা। সৈকতে আটকে থাকা জেলিফিসগুলো শুকিয়ে পর্যটকের হাঁটা চলায় অস্বস্তিকর সৃষ্টি হয়েছে।
জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তনজনিত কারণে জেলিফিশের অভয়াশ্রম বাস অনুপযোগী হওয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে পারে এমন শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আ ক ম মোস্তফা জামান জানান, সমুদ্রে দুষণের কারণে জেলিফিশের অভয়াশ্রম বাস অনুপযোগী হয়ে এমন বিপর্যয় হতে পারে। ভেসে আসা জেলিফিশটির বৈজ্ঞানিক নাম (অঁৎরষরধ অঁৎরঃরধ) অরিলিয়া-অরিটিয়া।
কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, জরুরি ভিত্তিতে সৈকত থেকে এগুলো অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে হাজার হাজার মরা জেলিফিশে কুয়াকাটা সৈকত আটকে একাকার হয়ে যায়। পঁচে-গলে ছড়াতে থাকে দুর্গন্ধ। তখন স্থানীয় লোকজন মরা জেলিফিশ অপসারণের উদ্যোগ নেন।
মন্তব্য চালু নেই