বেরোবি শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম : প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
এইচ.এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৮ম ব্যাচের ছাত্র শেফায়েত শিকদারকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড়ে অবস্থিত একটি হোটেলে নিম্ন মানের খাবার পরিবেশন নিয়ে মালিকের সঙ্গে কথাকাটাকটির জেরে দোকানের শার্টার বন্ধ করে বেধরক মারধর করা হয়েছে। হোটেলের মালিকের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে সারা শরীর জখম করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে গুরুত্বর আহত শিকদার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে দায়িদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট- ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সোমবার রাতে ঘটনার সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে থাকা এক শিক্ষার্থীসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, সেই রাতে শিক্ষার্থী শেফায়েতসহ চারজন পার্ক মোড়ে অবস্থিত রফিক হোটেলে ভাত খেতে গেলে তরকারি নিম্নমানের ও দূর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় প্রতিবাদ করে। এসময় তারা শুধু ডাল ভাজি দিয়ে ভাত খেতে চায়। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি শুধু ডালভাজি নয় মাছ-মাংস দিয়ে ভাত খেতে হবে। এত রাতে ডাল ভাজি বিক্রি করা হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এ নিয়ে হোটেল মালিকের বড় ভাই শফিকের সাথে কথাকাটাকাটি হয়।
এ ঘটনায় হোটেল মালিকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। তাকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় শিক্ষার্থী রংপুর- কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মা ঘোষণা করে বলেন, আমরা চাই বারং বার এ রকম ঘটানার বিরুদ্ধে যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য স্থায়ী সমাধান করা হউক। দ্রুত দোষিদের গ্রেফতার না করলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর তামান্না ছিদ্দিকা ঘটনা স্থলে এসে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেয়ায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ নেতা ও প্রক্টরের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে তুমুল ঝড় উঠেছে। অনেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া চালু থাকতো তাহলে শিক্ষার্থীদের স্থানীয়দের হাতে মার খেতে হতো না। এমনকি শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ক্যাফেটেরিয়াও চালু হবে না আর আমরা বাইরে গিয়ে খাবারের জন্য স্থানীয় দোকানদারদের হাতে মার খেতেই থাকবো।
বর্তমান বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এরশাদ আলী বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের শেষের দিকে পার্ক মোড়ের কফি শপে খাবার নিয়ে,চলতি বছরের মার্চে স্থানীয় দোকানদারদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে স্থানীয়দের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক গেইট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আর গতকাল খাবার খাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই