বেরোবি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ঘেরাও

বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে(বেরোবি)গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী দিপু রায়কে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশের মাধ্যমে আটকিয়ে রাখা এবং তাঁর বাবার মৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) মীর তামান্না ছিদ্দিকার অপসারণসহ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রক্টর অফিস ঘেরাও করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রক্টরের (চলতি দায়িত্ব) পদত্যাগ দাবিতে ২৪ ঘন্টার অল্টিমেটাম শেষে আজ বুধবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শেষে প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
পরে সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য পেশ করেন গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাব্বি, মারুফ, তোফায়েল, মারিয়া, শামীম প্রমূখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রক্টর ( চলতি দায়িত্ব)মীর তামান্না ছিদ্দিকা সেচ্চাচারিতা করে দীপুকে পাঁচ ঘন্টা আটকিয়ে রাখেন। তার আটকের সংবাদ শুনেই তার বাবা অনিল রায় মারা যান। প্রক্টর তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাকে অপসারণ না করা হলে তিনি পরবর্তী সময়ে এ ধরণের ঘটনা আরও ঘটাতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আজকের মধ্যেই প্রক্টরের অপসারণ দাবি করে শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় আগামীকাল প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয় তারা।
গত ১৭ এপ্রিল একই দাবিতে বিক্ষোভ শেষে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়ে এক দিনের আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল ২০১৭ নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষ করার পর বেলা ১১টার দিকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী দীপু রায় কয়েকজন বন্ধুসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) মীর তামান্না ছিদ্দিকা তাঁর সাথে অসদাচরণের অভিযোগ করে পুলিশের কাছে তুলে দেন। পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে অসদাচরণের কথা অস্বীকার করলে প্রক্টর দীপুকে বিভিন্ন সময়ের ভাংচুরসহ অন্যান্য মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। এসময় সেখানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বেরোবি উপাচার্য ড. একে এম নূর-উন-নবী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য চালু নেই