বেরোবির মাঠে দুই দফায় আগুন, তদন্তের নির্দেশ উপাচার্যের
এইচ.এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন ঔষধি বাগান এবং খোলা মাঠে পৃথকভাবে আগুন লাগার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার বেলা ১২ টার দিকে এই আগুনের সুত্রপাত ঘটে। সন্ধ্যা সোয়া পাঁচটার দিকে মসজিদ সংলগ্ন ফাঁকা মাঠে আরেকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।সন্ধ্যায় আগুন লাগার পরপরই উপাচার্য সেখানে গিয়ে পরিদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর শফিক আশরাফকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়।
শিক্ষার্থী, পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায় , সকাল নয়টার দিকে সামান্য ধোয়া দেখা যায়। আস্তে আস্তে সেই ধোয়া ও পুড়ে যাওয়া গাছের ছাই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুপুর বারোটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর সন্ধ্যা সোয়া পাঁচটার দিকে আবারো অন্য জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।পরে আশেপাশের শিক্ষার্থী,পুলিশসহ অন্যান্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
একই দিনে দুটি জায়গায় পৃথকভাবে আগুন লাগার ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে পুরো সতর্ক নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে উপাচার্য ড. এ কে এম নূর-উন-নবী।তবে কে বা কারা এই আগুন লাগিয়েছে সেটা জানা যায় নি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই বাগানে প্রায়শই বহিরাগতরা নেশা করতে আসে। তাদের মাধ্যমে এই আগুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।তবে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে প্রচন্ড ঠান্ডায় আগুন ধরিয়ে কিছু ব্যক্তি ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করলে পরে প্রায় ১০০ গজ এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও সহকারী রেজিস্ট্রার আমিনুর রহমান বলেন, সকালে এসেই আমরা আগুন দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে এই আগুন লাগানো হয়েছে। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহবান জানান।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কঠোর নিরাপত্তা বিরাজ করছে এবং পুড়ে যাওয়া জায়গার পুরোটা ফায়ার এন্ড রেসকিউ রেসপন্স বাহিনী পানি দিয়ে ঠান্ডা করেছে।
উল্লেখ্য, ঠিক একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন দুই স্থাপনা ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের নির্মানকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে উপাচার্যের দপ্তরে একটি মিটিং চলছিল।
মন্তব্য চালু নেই