বেরোবিতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে শপথ
এইচ.এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি : জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে শপথ নিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের(বেরোবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদের কোন বীজ বপন করতে দেওয়া হবে না বলেও সকলে সমস্বরে ঘোষণা দেন । সোমবার বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়কের উভয় পাশে দাঁড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠে ‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শ্লোগানে মূখরিত করে এই শপথ গ্রহণ করেন।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড বহন করে তারা। দীর্ঘ এই মানববন্ধন এক পর্যায়ে মানবপ্রাচীরে পরিণত হয়। সকলেই শপথ নেন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাস থেকে একটি র্যালি বের হয়ে নগরীর মডার্ণমোড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা স্মারকের পাদদেশে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আর এম হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক, কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম রকিব উদ্দিন আহমেদ, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি আরিফুল হক, সাধরাণ সম্পাদক মোস্তফা মাহমুদ হাসান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেছেন ‘দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই একটি কুচক্রি গোষ্ঠি দেশের ভেতরে থেকে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠির সহায়তায় ষড়যন্ত্র করছে। এই গোষ্ঠিই তাদের চক্রান্তের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চাইছে এবং বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে। এই গোষ্ঠিকে প্রতিহত করতে পারলেই দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাস নিমূল করা সহজ হবে।
উপাচার্য আরো বলেন ‘৭১এর পরাজিত শক্তির সেই সময়ের ভ’মিকার সঙ্গে এখনকার ভুমিকার কোন পার্থক্য দেখা যায় না। তারা ভিন্ন চেহারায় ভিন্ন কৌশলে দেশে অরাজকতার চেষ্টা করছে। তবে তারা যত ষড়যন্ত্রই করুক কোনদিন সফল হবে না। আজ সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় ‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে ধারণ করে আয়োজিত সমাবেশে বক্তৃতাকালে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন জঙ্গি তৎপরতা নেই। তবে কেউ যেন এখানে কোন জঙ্গিবাদের বীজ বপন করতে না পারে সেই ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন এ দেশে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তরুনরাই অগ্রনী ভুমিকা রেখেছে। সতুরাং জঙ্গি প্রতিরোধে তরুন সমাজের বিকল্প নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই