বেরোবিতে চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন স্মরণে আলোচনা সভা

এইচ. এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) মফস্বল সাংবাদিকতার পথিকৃত মোনাজাত উদ্দিন এর ৭২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণনভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় বেলা ১১ টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (বেরোবিসাস) আয়োজনে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং নব নির্বাচিত শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং প্রথম আলোর কলামিস্ট ড. আবু সালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান( তুহিন ওয়াদুদ), গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো: নজরুল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের অফিসার মোহাম্মদ আলী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তপন কুমার রায়, সহ-সভাপতি এইচ. এম নুর আলম, সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম সংগ্রাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক, দপ্তর সম্পাদক ইভান চৌধুরি, প্রচার সম্পাদক মোবাশ্বের আহমেদসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

সভায় মোনাজাত উদ্দিন স্মরণে প্রবন্ধ উপস্থাপণ করেন সাংবাদিক সমিতির প্রচার সম্পাদক মোবাশ্বের আহমেদ।

স্মরণ সভায় বক্তারা চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের সাংবাদিকতাসহ অন্যান্য বিষয়ে সংগ্রামী ইতিহাস তুলে ধরেন।মফস্বল সাংবাদিকতার পথিকৃত মোনাজাত উদ্দিন স্মরণে এমন আয়োজন করার জন্য সাংবাদিক সমিতিকে সাধুবাদ জানান। এ সময় কলামিস্ট তুহিন ওয়াদুদ মোনাজাত উদ্দিন এর জন্ম সাল বিতর্ক নিয়ে তথ্যানুসন্ধানের জন্য আহ্বান জানান সাংবাদিকদের।

রংপুরের সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন ছিলেন একাধারে নাট্যকার,গল্পকার এবং একনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক।তাঁর হাত ধরেই মফস্বল সাংবাদিকতা শুরু হয়। তিনি ১৯৪৫ সালের ১৮ জানুয়ারি রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার মরনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর পিতার নাম মো: আলিমউদ্দিন এবং মাতার নাম মতি জাননেছা। রংপুর কৈলাসরঞ্জন উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।বিএ অনার্স পড়াকালীন তাঁর পিতার মৃত্যুতে তাঁকে সংসারের হাল ধরতে হয়। রংপুর নিসবেত গঞ্জ সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেন। এই সাংবাদিক বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কাজ করেছিলেন। বিভিন্ন পেশায় থাকলেও একমাত্র সাংবাদিকতা পেশা হিসেবে মানুষের কষ্ট, দু:খ তুলে ধরেছেন স্পষ্টভাবে।

প্রথিতযশা এই সাংবাদিক ফুলছড়ি থানার যমুনা নদীতে কালোসোনার ড্রেজিং পয়েন্টে দুটি নৌকা ডুবির তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যান। অসুস্থ শরীর নিয়ে গাইবান্ধার শেরেবাংলা নামক জায়গায় যাত্রাপথেই ১৯৯৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।



মন্তব্য চালু নেই