বেরোবিতে এবার উপাচার্য পক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রশাসনিক ভবনে তালা
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি)বকেয়া বেতন সুবিধাদি না পাওয়ায় এবার উপাচার্যের পক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা তালা লাগিয়েছে প্রশাসনিক ভবনে।এ দিকে দীর্ঘদিন পর পদায়নকৃত ৮১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এডহক ও মাস্টাররোলে থাকা ২৬ মাস থেকে বেতনহীন ১৫২ কর্মকর্তা কর্মচারির মধ্যে জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে ৮১ জনের পূর্বের বকেয়া বেতনাদিসহ বেতন দিতে সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন|আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকাল ১০ টায় প্রশাসনিক ভবনের ২য় তলার সবকটি কক্ষে তালা লাগায় ঐ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
তবে আজ এক মুঠোফোনে ঘটনাটি অস্বীকার করে তাদের মধ্যে এক কর্মকর্তা জানান,এ রকম কিছুই ঘটেনি।আর তালাও খোলা রয়েছে প্রশাসনিক ভবনের।তিনি আরও বলেন,বিষয়টি নিয়ে আমরা উপাচার্যের কাছে বসেছি তিনি কোনো অনিয়ম করেন নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, নির্বাচিত ৮১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে তাদের নিজেদের সুপারিশ ও পছন্দ অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে গিয়ে হুমকি দেয়া সহ ঐ কক্ষ সহ প্রশাসনিক ভবনের কয়েকটি কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয় । আর এই কাজের সাথে যেসব কর্মচারী জড়িত তারা মূলত উপাচার্যেরই অতি কাছের লোক ।
এই কর্মচারীরা এতদিন থেকে উপাচার্যের লেজুরবৃত্তি করে এসেছিল বলে জানা যায়। এমনকি এই গ্রুপটি ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তারসহ যেকোন কাজে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে সক্রিয় রয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত বৃহস্পতিবার সেই নির্বাচিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা প্রকাশ না করলেও বিভিন্ন সূত্রে ফাঁস হওয়ার উপক্রমরই ফলাফল এই ঘটনা।
এ ব্যাপারে এক কর্মচারি জানান,গত বুধবার পদায়নকৃত ৮১ জনের নামের তালিকা দেখতে গেলে রেজিস্ট্রার না দেখানোয় তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগায়।তবে আজ এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হন নি ঐ কর্মচারি।
এর আগে বুধবার দুপুর প্রায় ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মচারী রেজিস্ট্রার দপ্তরে গিয়ে বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। রেজিস্ট্রার দপ্তর সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। এসময় বিষয়টি নিয়ে তারা সরাসরি রেজিস্ট্রার সহ ফোনে উপাচার্যের সাথে বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলে।
তবে রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা লাগানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি।
এব্যাপারে রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু কর্মচারী বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে আসেন। কিন্তু যে বিষয়ে তারা জানতে এসেছিল সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ন এবং বলতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার দপ্তরে তালা লাগানোর বিষয়টি তিনি অস্বীকার করলেও আশেপাশের কয়েকটি কক্ষে তালা লাগানোর বিষয়টি তিনি শুনেছেন বলে জানান।
তবে আজ এক মুঠোফোনে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
মন্তব্য চালু নেই