বৃদ্ধা মাকে ফেলে পালিয়ে গেলেন মেয়ে-জামাই
সম্পত্তি লিখে নিয়ে সাভার থেকে গাজীপুরে এক বৃদ্ধাকে ফেলে রেখে গেছেন মেয়ে ও তার জামাই। নির্মম ও নির্দয় এ ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল বাজারে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধা আমেনা খাতুনকে (৯০) তার মেয়ে ও জামাতা কিছুদিন আগে পূবাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ফেলে রাখে। পরে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা আমেনাকে এনে স্থানীয়দের সহায়তায় একটি টং দোকানে থাকার ব্যবস্থা করে এবং কয়েকদিন ধরে তারা মিলেমিশে বৃদ্ধার খাবার পরিবেশন করছে।
এ অবস্থায় বৃদ্ধার সঙ্গে কথা হলে তিনি অস্পষ্ট স্বরে তার করুণ দশার বর্ণনা দেন এই প্রতিবেদককে।
আমেনা খাতুন জানান, তার বাড়ি সাভার থানার ভাকুর্তা বাজারের কাছাকাছি। তার দুই মেয়ে ছমিরুন নেছা ও বিবি। ছোট মেয়ে বিবি ও তার জামাই সোলেমান খলিফা কয়েক বছর আগে প্রায় একবিঘা জমির ওপর পাঁচটি ঘর তার কাছ থেকে লিখে নেয় এবং ঘটনার দিন তার কাছে রক্ষিত প্রায় ২০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে বৃদ্ধাকে বেড়ানোর কথা বলে গাজীপুরের পূবাইল বাজারে এনে ফেলে রেখে যায়।
তিনি আরো জানান, তাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল কিন্তু তা না করতে পেরে ওই স্থানে ফেলে যায়। বৃদ্ধা তার ঠিকানা সঠিকভাবে বলতে না পারলেও অস্পষ্টভাবে জানান, তার স্বামীর নাম নোয়াব আলী। তার বাবার নাম সাহাজ উদ্দিন এবং তার চাচাতো ভাইয়ের নাম মধু মাতব্বর, সোনা মিয়া, সুলতান কমান্ডার ও সুরুজ মাস্টার।
তারা সাত ভাই বলে জানান এবং সাভারে তাদের বাড়ির সঙ্গেই আমেনা খাতুনের বাড়ি। এর বেশি আর কিছুই বলতে পারেননি তিনি। এই অবস্থায় আমেনা খাতুন দিনরাত কাঁদছেন আর স্বজনদের অপেক্ষা করছেন।
স্থানীয়রা এই অমানবিক ও হৃদয়বিদারক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মৌলিক অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তাটুকু বৃদ্ধা আমেনা খাতুনের আজ বড়ই প্রয়োজন।
মন্তব্য চালু নেই