বুলেটের গতিতে চলবে ইলেকট্রিক কার
মর্গান ৩ পৃথিবীর প্রাচীন গাড়ি গুলোর মধ্যে অন্যতম। মর্গান ৩ এর নির্মাতা মর্গান প্রতিষ্ঠান জেনেভা ইন্টারন্যাশনাল মোটর শোতে তাদের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি প্রদর্শন করে।
নতুন এই ইলেকট্রিক গাড়ির ডিজাইন করা হয়েছে পূর্বের মর্গান ৩ গাড়ির আদলে। নতুন এই ইলেকট্রিক গাড়িটি ৩ চাকা বিশিষ্ট এবং একটি উম্মুক্ত ককপিট রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য জনপ্রিয় পেট্রোল চালিত গাড়িগুলোর মত এই গাড়িটির সামনে রয়েছে ভি-টুইন ককপিট ইঞ্জিন।
এই গাড়িটি দেখতে প্রাচীনকালের সায়েন্স ফিকশনে ব্যবহৃত হওয়া স্লিক বুলেটের মতো। গাড়িটির নাম মর্গান ইভ ৩।
ইভ৩ কোন কল্পকাহিনি নয়। এতে ব্যবহার করা হয়েছে বিজ্ঞানের কলা কৌশল। পুরো গাড়িটার ওজন এক হাজার পাউন্ডের মতো এবং এতে রয়েছে ২০ কিলোওয়াটের ব্যাটারি প্যাক। পেছনের চাকা গুলোকে চালানোর জন্য এতে একটি লিকুইড কুলড ৪৬ কিলোওয়াটের মোটর রয়েছে।
এই ইঞ্জিনটি ৬০ হর্স পাওয়ারের শক্তি সম্পন্ন। এই ইঞ্চিনের সাহায্যে ইভ ৩ ঘন্টায় ৯০ মাইল বেগে ছুটতে পারে এবং ০ থেকে ৬২ মাইল গতি তুলতে গাড়িটির সময় লাগে মাত্র ৯ সেকেন্ড। তবে এই গতি একটি গতিশীল বুলেটের চেয়ে বেশি নয়। তবে ১৫০ মাইলের মধ্যে এই গাড়িটি বুলেটের মতো ছুটে চলতে পারে।
মর্গান জানায়, ইভ৩ এর পেট্রোল ইঞ্জিনের তুলনায় ইলেকট্রিক ভার্সনের মূল্য কম হবে। এই মূল্য ৪৫ হাজার ডলারের মধ্যে। ২০১৬ সালের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গাড়িটি উৎপাদন করা হবে। ২০১৭ সালে বৃটিশ রাস্তায় গাড়িটি দেখা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, মর্গান প্রতিষ্ঠানটি পারিবারিকভাবে কিনে নেয়া হয় ১৯০৯ সালে এবং খুব দ্রুত এটি ইতিহাসের অংশ হয়। নতুন ইভ ৩ গাড়িটিতে ১৯৩০ সালের লুক পাওয়া যাবে। এর অভ্যন্তরে ডিজাইন করা হয়েছে প্রাচীন উপাদান এবং নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে। কাঠের টগল সুইচ, পিতল প্লেট, অ্যালুমিনিয়ামের পৃষ্ঠতল এবং গাড়িটির ড্যাশ বোর্ডে রয়েছে একটি ডিজিটাল স্ক্রিন।
প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে জানায়, নতুন পরিবেশ বান্ধব এই গাড়িগুলো উৎপাদন করতে সরকার তাদের সহায়তা দেবে। আধুনিক প্রযুক্তিতে পুরাতন স্মৃতিকে ফিরিয়ে এনে গ্রাহকদের মন জয় করতে প্রতিষ্ঠানটি আশাবাদী।
মন্তব্য চালু নেই