বিয়ে প্রসঙ্গে ১০টি কঠিন সত্য, যা হয়তো আপনি জানেন না

বিয়ে আমাদের উপমহাদেশে যেন এক উৎসবের নাম। এই উৎসব নিয়ে থাকে অনেক জল্পনা-কল্পনা। বর-কনে উভয়পক্ষের থাকেও অনেক স্বপ্ন, অনেক পরিকল্পনা। পাত্র-পাত্রীর নিজস্ব স্বপ্ন তো আছেই সাথে জুড়ে যায় দু’টি পরিবার। কিন্তু কিছু কঠিন সত্য জানা প্রয়োজন আপনার এই বিয়ে প্রসঙ্গে। স্বপ্ন তো থাকবেই, সাথে থাকা প্রয়োজন বাস্তবতা। আসুন জেনে নিই ‘সাইকোলজি টুডে’ এর প্রধাণ সম্পাদক কাজা পেরিনার মতামত।

অমিমাংসিত চুক্তি
বিয়েতে এমন কিছু না কিছু থাকবেই যা আপনার মতের সাথে মিলবে না। অনেক সময় আপনি বুঝতেও পারবেন না কোন মতের অমলের কারণে বাক-বিতন্ডা চলছে আপনাদের। যত দ্রুত আপনি এটা খুঁজে বের করতে পারবেন, ততো দ্রুত হবে এর সমাধান। আপনার সংগীকেও উৎসাহিত করুন সমস্যাটি খুঁজে বের করতে।

আপনি শুধু নিজেকেই বদলাতে পারবেন
আবেগের টানে আমরা ভাবি নিজেদের মত অনেক কিছু বদলে নেব বিয়ের পর। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয় না। আমরা শুধু আমাদেরই বদলাতে পারি। এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু মানিয়ে নেওয়ার জন্য খুবই জরুরী।

নিজের কাজ নিজেই করে ফেলতে হয়
আপনি যদি কিছু করতে চান তাহলে প্রশংসার দাবি না রেখে করে ফেলুন। হ্যাঁ, অবশ্যই ঘরের কাজের কথাই হচ্ছে। তবে বাস্তব এটাই যে, দুই পরিবার থেকে আসা দুইজন মানুষের নিজেকে গুছিয়ে রাখার ধরণ কখনো এক হবে না। তাই আরেকজনের অপেক্ষা না করে নিজেই কাজগুলো করুন। আগে যেভাবে করতেন। এতে আপনার সঙ্গীরও সহযোগিতাই করা হবে।

আপনারা একজন আরেকজনকে পছন্দ করেছেন
প্রায়ই এমন হয় যে, বিয়ের পর কোন সমস্যা হলে আমরা বাবা-মাকে দোষারোপ করি। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষ হিসেবে আমাদের নিজেদের সম্পর্কের দায় আমাদের নিজেদেরই নিতে হবে।

জীবনের চাহিদাগুলো ক্লান্ত করে
সম্পর্কে আমাদের থাকে বিবিধ চাহিদা। ভালবাসার পাশাপাশি ভাল আন্ডারস্ট্যান্ডিংও চাই আমাদের। কিন্তু সব হয়ত পাই না যেমন ভাবি। মনে রাখা প্রয়োজন যে মানুষটির এত এত সমস্যা আপনাকে আহত করছে তারই আছে এমন ভাল অনেক দিন যার জন্য তাকে ভালবাসেন আপনি। গুনগুলো ভুলে যাবেন না কখনো।

সামাজিকতাই সব নয়
বিয়ে একটা সামাজিক স্বীকৃতি সত্যি। কিন্তু এই সামাজিকতাই সব নয়। আমরা দীর্ঘদিন সামাজিকতার খাতিরে আত্মিয়ের বাড়ি যাই, তাদের দাওয়াত দিই, নানান আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যেতে থাকি। নিজেদের সময় দেওয়া হয় না। বাস্তব সত্য হল, নিজেদের সময় দেওয়া অন্য যে কোন কাজের চেয়ে বেশী জরুরী।

বাইরের পৃথিবী বাইরে থেকে দেখে
আপনাদের দু’জনের বাইরে সবাই কিন্তু আপনাদের সম্পর্কটা বাইরে থেকে দেখে। সবসময় হাসি-খুশী দেখলে ভাবে, অনেক ভাল আছেন। আবার একবার ঝগড়া দেখলে ভাবে নিশ্চই অনেক সমস্যা আছে। তাদের বিচার মানসিকতাকে উপেক্ষা করুন।

বিদ্বেষ সম্পর্ককে ভাল করে
সবকিছু একেবারে ভাল হওয়ার চেয়ে বরং একটু একটু বিদ্বেষ থাকা ভাল। আপাত খারাপ লাগা, বিরক্তি তৈরি হলেও দিনশেষে সম্পর্ক মধুর হয়!

নিজের সন্তুষ্টির দায়িত্ব নিজেই নিন
নতুন মানুষটির আপনাকে বুঝতে সময় লাগবে। তার জন্য আশার পসরা না সাজিয়ে নিজেই নিজের সন্তুষ্টির পথ খুজে নিন। তাকে বুঝতে সময় দিন। সারাক্ষণ বুঝিয়ে বলতে যাওয়া বিরক্তির কারণ হতে পারে।

প্রথম মূহূর্তের সৌন্দর্য্য
প্রথম মূহুর্ত যে আবেগ, ভালবাসা নিয়ে আসে তা হয়ত আর ফিরে পাওয়া যায় না। আর এটা স্বাভাবিকও। সময় যাবে, অনুভূতির তীব্রতা কমে। প্রথম আবেগের সৌন্দর্য্যকে ভুলে যাবেন না। মেনে নিন যে, কিছু জিনিস একবারই আসে।



মন্তব্য চালু নেই