বিয়ে না হলে আত্মহত্যা ছাড়া পথ থাকবে না

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিয়ের দাবিতে আদিবাসী এক অন্তঃসত্ত্বা যুবতী প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে।

গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে উপজেলার চম্পকনগর গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে ওই যুবতি অনশন শুরু করেন। তবে এর কয়েকদিন আগে থেকেই অভিযুক্ত যুবক পলাতক আছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউনিয়নের ভাজনপুর গ্রামের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ওই আদিবাসী ছাত্রীর (২১) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সদর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের বিষ্ট পদর ছেলে প্রশান্ত পদর (২৫) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরপর মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেমিক প্রশান্তর বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন।

বুধবার বিকেলে ওই যুবতী জানায়, গত প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রশান্তর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। এই সুযোগে প্রেমিক প্রশান্ত বিভিন্ন স্থানে তার সঙ্গে একাধিকবার অবৈধ মেলামেশা করে। বর্তমানে সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

ওই যুবতী আরো জানায়, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর তিনি প্রেমিক প্রশান্তকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। কিন্তু ১০ দিন আগে প্রশান্ত তার সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এ কারণে তিনি বাধ্য হয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।

প্রশান্তর মা মনোদা রানী (৪৮) বলেন, প্রায় ১০ দিন ধরে তার ছেলের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের কারো যোগাযোগ হয় না। এরই মধ্যে মেয়েটি গিয়ে তাদের বাড়িতে উঠেছে। প্রশান্ত বাড়ি ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

তবে ওই যুবতী দাবি করেন, প্রশান্তর পরিবারের সদস্যরাই তাকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রশান্তর সঙ্গে তার বিয়ে না হলে আত্মহত্যা ছাড়া তার কোনো পথ থাকবে না, বলেন ওই যুবতী।

ওই যুবতীর এলাকার ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, ছেলে ও মেয়ের বাড়ি আলাদা দুটি ইউনিয়নে। এ কারণে বিষয়টির সমাধান করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবু সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ বলেন, বিষয়টি তাকে কেউ জানান নি। ওই যুবতী থানায় কোনো অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই