বিয়ে টিকিয়ে রাখার উদ্ভট যত পদ্ধতি
কথায় বলে- জন্ম, মৃত্যু আর বিয়ে নাকি একজন মানুষের জীবনে একবারই হয়। আরো অনেক কথার মতন এই কথাটিরও অনেকটা অংশ জুড়ে ভুলভাল থাকলেও জন্ম ও মৃত্যুর মতন বিয়েকে অবশ্যই টিকিয়ে রাখার বিষয় ভেবে অনেকেই করে থাকেন ছোট ছোট কিছু ভুল। মুখ দেখাদেখি বন্ধ হলেও একই ছাদের নীচে বসবাসের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে করা এই ভুলগুলো পরবর্তী জীবনে মানুষকে ফেলে দেয় বিশাল সব সমস্যায়। ভাবছেন, সে যাই হোক, ম্যারেজ কাউন্সিলর আর পারিবারিক কিছু জোর-জবরদস্তি ছাড়া কীইবা আর করে থাকে মানুষ একটি বিয়েকে টিকিয়ে রাখার জন্যে? জানতে চান? চলুন তাহলে জেনে আসি অতীত থেকে বর্তমান অব্দি বিয়েকে টিকিয়ে রাখার জন্যে মানুষের বেছে নেওয়া উদ্ভট সব উপায়গুলো।
১. পাদ্রীর সামনে যৌনাচার
যদিও বর্তমানে এমনটা চালু নেই, তবে ১৬ শতকের সময় ফ্রান্স বাদে আর যেকোন দেশেই বিচ্ছেদ ছিল অসম্ভব একটি বিষয়। তবে সেটাও কার্যকর হত যদি কিনা কোন স্বামী যৌন সম্পর্কে অক্ষম হিসেবে প্রমাণিত হতেন তবেই। কিন্তু কী করে কারো যৌন অক্ষমতাকে প্রমাণ করা যয়? অনেক ভেবে তাই সেসময় নিয়ম করা হয় যে, বিচ্ছেদ ঠেকানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে পাদ্রীর সামনে নিজের যৌন সক্ষমতা বা অক্ষমতাকে প্রমাণ করতে হবে স্বামীকে।
২. ডিভোর্স রুম
১৫৭২ থেকে ১৮৬৭ সাল পর্যন্ত রোমানিয়াতে ব্যবহৃত হওয়া এই পদ্ধতি অনুসারে, কোন দম্পতি বিচ্ছেদের জন্যে চার্চে এলেই তাদেরকে ১৪ দিনের একটি নির্বাসন দেওয়া হত। নির্বাসনটি কেবলই তাদের দুজনের। এসময় তাদেরকে পাঠানো হত ডিভোর্স রুম নামক একটি ঘরে। সেখানে টানা ২ সপ্তাহ একটি বিছানা, একটি চেয়ার, একটি প্লেট, একটি চামচ- অর্থাত্, সবকিছু একটি করে ব্যবহার করতে দেওয়া হত তাদেরকে। খুব আশ্চর্যজনকভাবে এই ডিভোর্স রুমে যাওয়ার ফলে একটি ডিভোর্স ছাড়া বাকী সব বিচ্ছেদগুলোই রদ হয়েছিল।
৩. ম্যারেজ হসপিটালস
চীনে পরকীয়া ও বিচ্ছেদের হার খুব বেশি। গবেষণায় পাওয়া যায় যে, প্রায় ৬০ শতাংশ চীনা পুরুষই পরকীয়ায় জড়ান আর অর্ধেকের বেশি স্বামী-স্ত্রী বিয়ের ৫ বছরের মাথায় বিচ্ছেদ চেয়ে থাকেন। আর তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চীনে ব্যবস্থ রয়েছে ম্যারেজ হসপিটালের। স্বামী, স্ত্রী ও প্রেমিকা- তিনজনকেই এখানে একে অন্যের সাথে সহজ করানোর চেষ্টা করা হয়। কেবল তাই নয়, এই হাসপাতালের সবচাইতে বাজে দিকটি হচ্ছে যে, এখানে স্ত্রীকে শেখানো হয় যে তার স্বামী অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে তার কারণ স্ত্রীর রূপচর্চা না করা ও রান্নায় মন না দেওয়া!
মন্তব্য চালু নেই