বিয়ে করার সঠিক বয়স কখন? সার্বিক সুখের জন্য জরুরি এই ৩টি বিষয়…

‘জন্ম-মৃত্যু-বিবাহ’ এই তিন নাকি বিধাতার ঠিক করা। এমনটাই বলা হয়। কিন্তু ঠিক কোন বয়সে বিয়ে করলে বিধাতা সবরকমের সুখ দেন? বিয়ের জন্য সময় নির্বাচনটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, বিয়ে মানে নতুন জীবন। সব কিছু বদলে যাওয়া। আসে নতুন দায়িত্ব।

তাই তৈরি হতে হয় শারীরিক ও মানসিকভাবে। আর তার জন্য দরকার প্রস্তুতি। অনেকেই কম বয়সে বিয়ে করে পরে আফশোস করেন। আবার অনেকে বেশি বয়সে বিয়ে করায় নাস্তানাবুদ হয়ে যান। তাই, বিয়ে করার সঠিক সময়টা জানা একান্ত জরুরি।

ছেলে কিংবা মেয়ে, সকলের ক্ষেত্রেই বিয়ের বয়স নির্বাচনে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আর সেটা আলাদা আলাদা। কারণ, বিয়ে করতে হলে মেয়েদের সন্তানধারণের জন্য শারীরিক গঠনের পূর্ণতা যেমন দরকার, তেমনই সংসার করার জন্য পরিণত-মনস্ক হওয়াও দরকার। আবার বেশি দেরী হয়ে গেলে সন্তানধারণ মুশকিলের হয়ে যেতে পারে।

চিকিৎসকরা বলেন, মেয়েদের ৩০ বছর বয়সের মধ্যে প্রথমবার মা হওয়া উচিত। কারণ, এর পরে নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। সুতরাং, ৩০ বছরের আগে মা হতে গেলে ২৫ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে বিয়ে করা উচিত। কিন্তু শিক্ষা এবং কেরিয়ার দুই গুছিয়ে উঠতে উঠতে অনেকেরই এই সময়টা পার হয়ে যায়।

তাই বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে বলা হচ্ছে ২৭ থেকে ৩০ এর মধ্যে বিয়ে করে নেওয়া ভাল। এবং বিয়ের পরে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব সন্তানধারণ করা উচিত। ছেলেদের ক্ষেত্রেও কেরিয়ার তৈরির তাগিদ বিয়ের সময়টা পিছিয়ে দেয়। কিন্তু সেটা ঠিক কতটা পিছনো উচিত?

ছেলেদের শারীরিক ক্ষমতা অনেক বেশি দিন টিকে থাকে। কিন্তু, শুধু সন্তানধারণ নয়, বাবা হিসেবে সন্তান প্রতিপালনও অত্যন্ত জরুরি কর্তব্য। তাই ৩৩ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। সেই হিসেবে বিয়ে করা উচিত ৩০ বছর অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গেই। তবে বিয়ে করার সময় নির্বাচন করতে এই তিনটি বিষয় সব সময়ে মাথায় রাখা উচিত:

১। যৌবন থাকতে থাকতেই বিয়ে করে ফেলা উচিত।

২। আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হওয়ার পরেই বিয়ে করা উচিত।

৩। মনের মতো সঙ্গী খুঁজে পাওয়া এবং বোঝাপড়া তৈরি হওয়ার পরেই বিয়ের প্ল্যান করা উচিত।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই