বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বাবা-মাকে কুপিয়ে জখম
রাজশাহীর দূর্গাপুরে কলেজছাত্রীসহ তারা বাবা-মাকে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে এক বখাটে ও তার পরিবারের লোকজন। আহত ছাত্রী রেশমা খাতুন (২০) রাজশাহী কোর্ট কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
উপজেলার সায়বাড় গ্রামে রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রী ও তার বাবা-মাকে দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র্রে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলাও করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বাবা আব্দুল মালেক জানান, গত এক বছর ধরে তার মেয়েকে প্রতিবেশী দুলাল হোসেনের ছেলে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাকিব হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। আব্দুল মালেক মেয়ে রাজি না হলে প্রায় সময় মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
তিনি আরও জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দুলাল হোসেন তার বড় ছেলে রাকিব, ছোট ছেলে রানা ও স্ত্রী রোকেয়া বেগমসহ কয়েকজন তাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন। এ সময় তাদের ফিরে যেতে বললে তারা মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে দুলালের নির্দেশে ছেলে রাকিব তার মাথায় হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করে। এরপর তার স্ত্রী গোলাপী বেগমকে (৪০) লাঠি দিয়ে পিটিয়ে যখম করে।
পরে মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে লাগলে বাধা দেয়ায় তাকে পিটিয়ে আহত করে বখাটে রাকিব ও রানা। এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায় বলে জানান ছাত্রীর বাবা আব্দুল মালেক।
এ ব্যাপারে দূর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী জানান, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে আহতদের খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য চালু নেই