বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার বাংলাদেশি কিশোরী

মোবাইলে বার বার মিসড কল দেওয়া। তার পরে সেই মিসড কলে সারা দিলে বন্ধুত্ব তৈরি, সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা। এর পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে পাচার করে দেওয়া।

বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া এক কিশোরীকে উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। ঘটনার মূল অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বালুরঘাট থানার পুলিশ উদ্ধার হওয়া কিশোরীকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দিয়েছে।

চাইল্ড লাইন সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কিশোরীর নাম ময়না (নাম পরিবর্তিত)। তার বাড়ি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার ধানবন্দি এলাকায়। ৭ মাস আগে মেয়েটির বাড়ির মোবাইলে মাঝে মধ্যেই একটি অপরিচিত নম্বর থেকে মিসড কল আসত। যে নম্বর থেকে মিসড কল আসত, সেই নম্বরে একদিন পাল্টা ফোন করে ওই কিশোরী। এইভাবেই এক যুবকের সঙ্গে তার আলাপ হয়। তার পরে থেকে ছেলেটির সঙ্গে মাঝে মধ্যেই ওই কিশোরীর কথাবার্তা হত।

ফোনে ছেলেটির সঙ্গে বন্ধুত্ব থেকে তার সঙ্গে প্রেম হয় ওই কিশোরীর। কিছুদিন পরেই তাকে পালিয়ে বিয়ে করে দূরে কোথাও গিয়ে সংসার করার টোপ দেয় ছেলেটি। ময়না তাতে রাজি হয়ে যায়। একদিন বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়েই পালিয়ে গিয়ে ছেলেটির সঙ্গে দেখা করে সে। এর পরেই অমৃত নামের ওই যুবক ময়নাকে নিয়ে পাচারচক্রের অন্যান্যদের সহযোগিতায় সীমান্ত পেরিয়ে সোজা পশ্চিমবঙ্গের হিলি হয়ে বালুরঘাটে চলে আসে।

উদ্দেশ্য বালুরঘাট স্ট্যান্ড থেকে দুরপাল্লার গাড়ি ধরে বাইর কোথায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া। বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ড এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশ তাদের আটক করে। থানায় নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাচারের ঘটনাটি ধরা পরে যায়। এর পরেই বালুরঘাট থানার পুলিশ অমৃতকে গ্রেফতার করে ময়নাকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেয়।

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর সুরজ দাস জানিয়েছেন মেয়েটির বাড়ি বাংলাদেশে। তাকে যাতে দ্রুত পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। এবেলা



মন্তব্য চালু নেই