বিয়ের ছুটি মনমতো হয়নি, তাই নিজেকেই মারলেন গুলি!

দলবির সিং ভারতীয় রেলওয়ে পুলিশের সদস্য। এই যুবকের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয় সম্প্রতি। নিয়মমতো প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটির আবেদনও করেন।

কিন্তু রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ যে কয়দিন ছুটি মঞ্জুর করে তাতে বিয়ের মতো উৎসবে মৌজ-মাস্তির ফুরসত মিলবে না। আর বিয়েটাতো খোদ নিজের! কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে পাত্তাই দিল না।

এমন অবস্থাটা ২৩ বছর বয়সী দলবিরকে এতটাই ক্ষুব্ধ করে যে সরাসরি লকার রুমে গিয়ে ঢোকেন তিনি। এরপর নিজের একে-৪৭ রাইফেল বের করে নিজেকে করে বসেন গুলি।

তবে ছুটির কারণেই নাকি অন্য কোনো কারণে তার এই আত্মহনন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, চাহিদামতো ছুটি তাকে দেওয়া হয়েছিল।

নবভারতটাইম্স.কম জানায়, গত শনিবার রাতে গুজরাত এক্সপ্রেস ধরে বাড়িতে ফেরার পরিকল্পনা ছিল দলবিরের। তার কিছুক্ষণ আগে ফোনে সে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছিল। প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, ঘটনার সময় দলবির রেলস্টেশনে তার কর্মক্ষেত্রে ছিল। একপর্যায়ে সে নিজের বুকে গুলি করে বসে।

গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জগজীবন হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দলবিরের স্বজনরা জানান, গত জানুয়ারিতে তার বিয়ের বাগদান হয়। সে সূত্রে মার্চের শুরুর দিকে তার বিয়ের দিন-তারিখ ধার্য হয়। কিন্তু হিসেব মতো ৬ মার্চে তার ছুটি মেলেনি। এতে করে বিয়ের নিয়ম-রসম ঠিকঠাক মতো পালন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আত্মপক্ষ সাফাইয়ে জানান, দলবিরকে তার চাহিদা মতো ৫ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছিল, ১১ মার্চ থেকে।

দলবিরের আত্মহননের ঘটনা ভারতীয় রেলওয়ে পুলিশ কর্মীদের মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ আর অধিক কর্মঘণ্টার বিষয়টি ফের বিতর্কে নিয়ে এল। এর আগে দেশটির মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) তদন্তও করেছিল এ বিষয়ে।

তবে রেলেওয়ে সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছে। পশ্চিম রেলওয়ে ডিভিশনাল কমিশনার অনুপ শুক্লা জানান, এর আগে বিয়ের বাগদান অনুষ্ঠানের জন্য দলবিরকে গত ২৩ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়। রেলওয়ে পুলিশের ডিসিপি দীপক দেবরাজ জানান, নিহতের সেলফোনের কললিস্ট যাচাই করে দেখা হবে তার মৃত্যুর আসল কারণ কী?



মন্তব্য চালু নেই