বিয়ের উপযুক্ত বয়স কত?

একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর বিয়ে করলে সে সম্পর্কে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা বহুগুণে বেড়ে যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিণতি ঘটে বিচ্ছেদে। সম্প্রতি ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের নিকোলাস উল্ফিঙ্গার জানান, বয়সের আগেও ঠিক নয়, পরেও নয়। সঠিক বয়সে বিয়ে করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুখী বিবাহিত জীবনের চাবিকাঠি।

কেউ যদি ২০ বছর বয়সে বিয়ে করে তাঁর বিচ্ছেদের সম্ভাবনা একজন ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করা ব্যক্তির চেয়ে ৫০ গুণ বেড়ে যায়। বয়স ২৫ এর পর থেকে প্রতি বছর ১১ শতাংশ করে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা কমতে থাকে যতক্ষণ না আপনি ৩২ বছরে পৌঁছচ্ছেন। এটা বিয়ে করার জন্য শেষ আদর্শ সময় হিসাবে ধরা যেতে পারে। এর পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। এই বয়সের যত পরে বিয়ে করবেন বিচ্ছেদের সম্ভাবনাও তত তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকে। যদিও ব্যতিক্রম থাকাটা আশ্চর্য নয়।

নিকোলাস আরও জানিয়েছেন, বেশি বয়সে অনেক কারণেই বিয়ে হয়। কেউ একাধিক শয্যাসঙ্গিনী নিয়ে থাকেন, কেউ বা কাউকে খুঁজে পাননা বলে বিয়ে করেন না। দুই ক্ষেত্রেই বেশি বয়সের বিয়ে বিপজ্জনক। যদি আগের পক্ষের স্ত্রীর সন্তান থাকে, তা হলে দ্বিতীয় বিয়ের পর জীবন আরও জটিল হয়। অতীত জীবনের ছায়া এসে বর্তমানকে অন্ধকার করে তোলে। আর তার জন্যই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গণ্ডগোল দেখা যায়। আবার যাঁরা পছন্দ মতো সঙ্গী পান না, তাঁরা অনেকটা বাধ্য হয়ে বা পরিবারের চাপে বিয়ে করেন। সে ক্ষেত্রেও ডিভোর্সের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।



মন্তব্য চালু নেই