বিড়ালের বাহন গন্ডার

প্রকৃতির বিভিন্ন সৃষ্টির উপর কর্তৃত্ব করেই আজ মানুষের বাড়বাড়ন্ত। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ কর্তৃত্ব করতে শেখে ঘোড়া, গাধা এবং হাতির উপর। মানুষ শ্রমের প্রয়োজনেই এই ব্যবস্থার সৃষ্টি করে। যেহেতু মানুষ অন্য সব জীব থেকে শ্রেষ্ঠ তাই তার পক্ষে অন্য জীবকে পদানত করা সহজ হয়। কিন্তু তাই বলে বিড়াল যদি গন্ডারকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করে তাহলে বিষয়টি কেমন হয়।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার হুলুওয়ে সাফারি পার্কের গোপন ক্যামেরায় গন্ডারের পিঠে বিড়াল চড়ছে এমন দৃশ্য ধরা পরে। প্রথমে এটাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা যায় রাতের বেলা বিভিন্ন প্রানী অদ্ভুত আচরণ করে, যা সচরাচর দিনের বেলায় দেখা যায় না। একই স্থানে ভিন্ন ভিন্ন দিনে তোলা ছবি থেকে দেখা যায়, গন্ডার কিংবা মহিষের পিঠে বিড়াল ও বানর শ্রেনীর প্রানী নির্বিবাদে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সাফারি পার্কের এই গোপন ছবি বিভিন্ন সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। জীববিজ্ঞানীদের মতে, প্রকৃতিতে বিভিন্ন জীব তাদের নির্ধারিত নিয়মানুসারে আচরণ করে। তাদের মধ্যেও ক্ষমতা বা কর্তৃত্বের চর্চা আছে যা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে বোঝা সম্ভব নয়।
বণ্যপ্রানী আইন জুহে লুধো’র মতে ‘এবারই প্রথম প্রানীকূলের এরকম ছবি দেখা সম্ভব হয়েছে। জীববিজ্ঞানীদের কাছে পুরো বিষয়টি যেমন মজার তেমনি বিপুল আগ্রহের। বিশেষ ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার কারণে গন্ডার কিংবা বিড়াল কোনোটিই টের পায়নি যে তাদের ছবি তোলা হচ্ছে।’
বণ্যপ্রানী বিশেষজ্ঞ ড. সিমন মরগ্যান জানান, ‘নিশাচর প্রানীরা তাদের নিজেদের মধ্যে একপ্রকার বন্ধুত্ব তৈরি করে। তত্ত্বীয়ভাবে আমরা এই আচরণ সম্পর্কে জেনেছি আগেই। কিন্তু এই রূপ দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। আমার জানা মতে, পৃথিবীতে এটাই প্রথম বিরল এক ঘটনার ছবি যা রাতের আধারে তোলা হয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই