বিড়ালের জন্য নির্মিত পাঁচতারা হোটেল!
কক্ষগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, কিং সাইজের বেড, স্বপ্নবিলাসী খেলার মাঠ, সুস্বাদু খাবারের স্তুপ, যেন কোনো রাজমহল।
কিন্তু না, এটি কোনো রাজমহল নয়। এটি মালয়েশিয়ার ক্যাটজোনিয়া পাঁচতারা হোটেল।
দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের অদূরে দামানসারা এলাকায় অবস্থিত এই অভিজাত হোটেলটি। কিন্তু জেনে আশ্চর্য হবেন, হোটেলটি মানুষের আয়েশ করার জন্য নয়। এটি বিড়ালের জন্য নির্মিত বিশ্বের প্রথম পাঁচতারা হোটেল।
ক্যাটজোনিয়া নির্মাণের পিছনে মূল উদ্দেশ্য হলো আদরের পোষা বিড়ালগুলোকে একটু আয়েশ দেওয়া। দৈনিক রুটিনমাফিক কাজ থেকে একটু অবকাশ দেওয়া। কিংবা যখন মনিব বাসার বাইরে থাকে এবং আদরের বিড়ালের যত্ন নিতে পারেন না বা তার প্রতি খেয়াল রাখতে পারেন না, তখন সেটিকে ওই হোটেলে রেখে যাবেন।
অভিজাত এই হোটেলে চার শ্রেণির মোট ৩৫টি কক্ষ রয়েছে। সেখানে নিয়োজিত আছে বেশ কিছু বিড়ালপ্রেমী, যারা বিড়ালগুলোর সার্বক্ষণিক যত্ন নেন। তাদের সাথে খেলা করেন। সাজগোছ করান, যাতে করে বিড়ালগুলো সেখানে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
ক্যাটজোনিয়ার ওয়েবসাইটের ভাষ্য, বিড়ালগুলোরও একটু অবকাশের দরকার আছে। এটি এমন একটি প্রাণী যারা সব সময় আদর-সোহাগ, আলিঙ্গন পছন্দ করে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিড়াল কখনো একাকিত্ব বা নিঃসঙ্গতা পছন্দ করে না। তাই এই হোটেলটি বাসা-বাড়ির আদলে অভিজাত করে গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে করে বিড়ালেরা এখানে স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটাতে পারে।
হোটেলটির সবচেয়ে বিলাসবহুল কক্ষ হচ্ছে ভিভিআইসি (ভেরি ভেরি ইমপোরট্যান্ট ক্যাট) শ্রেণি। এখানে রয়েছে তিনটি কিং সাইজের অভিজাত বিছানা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, গোসলখানা, আলাদা টয়লেট, মিনি-খেলার মাঠ, যেখানে একসঙ্গে ১০টি বিড়াল থাকতে পারবে।
এখানে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে বিড়ালগুলো পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে করে মনিবেরা স্মার্টফোনের মাধ্যমে তাদের বিড়ালের প্রতি নজর রাখতে পারেন।
অন্যান্য শ্রেণির মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ছাড়াও রয়েছে গোসলের সুবিধা, গোসলের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত শ্যাম্পু, সিঙ্গেল (একক) অথবা ডাবল (দুটি) বিছানা, সাজগোছের ব্যবস্থা ও চিকিৎসা সেবা। এ ছাড়া প্রত্যেকটি কক্ষে রয়েছে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সুবিধা।
ক্যাটজোনিয়া বিড়ালের জন্য নির্মিত বিশ্বের প্রথম বিলাসবহুল হোটেল নয়। এ ধরনের হোটেল বিশ্বের আরো বিভিন্ন দেশে রয়েছে। তবে মালয়েশিয়ার এই হোটেলটি বিড়ালের জন্য নির্মিত প্রথম পাঁচতারা হোটেল।
মন্তব্য চালু নেই