নানান কারণে প্রতিনিয়ত আমরা বিষণ্ণতায় ভুগে থাকি। হতাশা বা বিষণ্ণতাকে নীরব ঘাতক বলা হয়। এটি শুধু মনের উপর প্রভাব ফেলে না, স্বাস্থ্যের উপর মারাত্নক প্রভাব ফেলে। হতাশা এমন একটি জিনিস যা মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। লো ব্লাড প্রেশার, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এমনকি ডায়াবেটিসও হতে পারে দীর্ঘদিন স্ট্রেস থাকার কারণে। তাই হতাশাকে বাড়তে না দিয়ে এটি প্রতিরোধ করা উচিত। কিছু খাবার আছে যা হতাশা দূর করতে সাহায্য করে।

১। অ্যাভাকাডো

অ্যাভাকাডো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন বি, সি,ই এবং কে রয়েছে যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

২। মাশরুম

মাশরুম মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। মাশরুমে থাকা উপাদান রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি দেহের ভিতরে কিছু ভাল ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। নিয়মিত মাশরুম খাদ্য তালিকায় রাখুন।

৩। আপেল এবং কলা

কলা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণ করে যা মন ভাল করতে সাহায্য করে। এক কাপ দুধের সাথে একটি আপেল খান, এটি আপনাকে দ্রুত কাজের শক্তি দেবে। আপনি চাইলে এর সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪। কাজুবাদাম

কাজুবাদাম জিঙ্কের অন্যতম উৎস। এক আউন্স কাজুবাদামে ১১% আরডিএ (RDA) পরিমাণ জিঙ্ক রয়েছে। অর্থাৎ জিঙ্কের দৈনিক চাহিদার ১১ শতাংশ দিতে পারে এক আউন্স কাজুবাদাম। শরীরে জিঙ্কের অভাব দেখা দিলে হতাশা, উদ্বেগ দেখা দেয়। আমাদের শরীর জিঙ্ক সংরক্ষণ করে রাখে না, তাই প্রতিদিন অল্প পরিমাণের হলেও জিঙ্ক খাওয়া উচিত। এটি আমাদের দুশ্চিন্তা দূর করে মন ভাল করে দেয়।

৫। ডার্ক চকলেট

ডার্ক চকলেট মন ভালো করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। ডার্ক চকলেটে থাকা পলিফেনল মানসিক অবস্থা উন্নত করে। এছাড়া এটা রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। খুব বেশি স্ট্রেস অথবা মন খারাপের সময় এক টুকরো ডার্ক চকলেট খান। আর দেখুন নিমিষে মন ভাল হয়ে গেছে।

৬। মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারটিন এবং ভিটামিন বি৬ রয়েছে যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এটি হতাশা দূর করতেও বেশ কার্যকর।

৭। পালংশাক

উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এই পালং শাক ক্লান্ত বিষণ্ণতা দূর করে থাকে। এছাড়া এই শাক ভিটামিন এ, বি, সি এবং আয়রনের চমৎকার উৎস। সেই সাথে এতে থাকা প্রোটিন দেহের শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে।