বিশ বছর বয়সে যে ভুলগুলো করা উচিত নয়
জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো ২০ বছর বয়স। এই বয়সটিতে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তী জীবনের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এই সময়ে নেওয়া একটি ভুল সিদ্ধান্ত পরবর্তী জীবনকে এলোমেলো করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। অনেকে মনে করেন এই সময়টি শুধু ক্যারিয়ার, পড়ালেখা নিয়ে চিন্তা করলেই হয়। শুধু ক্যারিয়ার বা পড়ালেখা নয় সম্পর্ক, স্বাস্থ্য সবকিছুতেই নজর দেওয়ার প্রয়োজন এই সময়ে। মনে রাখবেন, জীবনে যেসময় একবার প্রবাহিত হয় তা আর ফিরে আসে না। তাই ভুল করার আগেই সাবধান হয়ে যান। কিছু ভুল আছে যা এই বয়সে কম বেশি সবাই করে থাকেন। এমন কিছু সাধারণ ভুল নিয়ে আজকের এই ফিচার।
১। একমাত্র উচ্চশিক্ষাই সাফল্যের চাবিকাঠি
এই বয়সের তরুণ-তরুণীরা মনে করেন উচ্চশিক্ষা, মেধা আর শিক্ষাগত ডিগ্রীই সাফল্যের চাবিকাঠি। সফল হতে হলে শুধু মেধা আর শিক্ষাগত ডিগ্রী হলে হয় না, সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন পরিশ্রম, অধ্যাবসায়, এবং চেষ্টা। কোন বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে চাকরি বা সফলতার নিশ্চয়তা দেয় না। সফলতা অর্জনের জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। শুধুমাত্র একাডেমিক পড়ালেখার উপর নির্ভর না করে, এরসাথে বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। যা আপনার সফলতার পথকে সহজ করে তুলবে।
২। সঞ্চয়ী না হওয়া
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ৬৯% মানুষ যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৯ তাদের কোন ভবিষ্যৎ সঞ্চয় নেই। অবসর গ্রহণের পরে তারা কী করবেন কোন পরিকল্পনা নেই তাদের। এটি সত্যি যে অবসর গ্রহণে অনেকটা সময় বাকী রয়েছে, কিন্তু তার পরিকল্পনা এই সময় থেকে করতে হবে। সঞ্চয়ের অভ্যাস এইসময় থেকে গড়ে তোলা উচিত।
৩। ভুল বন্ধু নির্বাচন করা
এই বয়সে বন্ধু নির্বাচনে অনেকই ভুল করে থাকেন। কিন্তু এটিই মোক্ষম সময় সঠিক বন্ধু নির্বাচনের। যেসব বন্ধুর সঙ্গে মেশার কারণে আপনার ক্ষতি হয়েছে বা হচ্ছে, তাদের সঙ্গ বাদ দিন। বন্ধুতালিকা এখনই কাটছাঁট করে ফেলুন। এই বিষয়টিকে একমদই অবহেলা করবেন না। তাহলে অনেক বড় ভুল করবেন।
৪। পরিবারকে সময় না দেওয়া
পড়ালেখা, ক্যারিয়ার, বন্ধুকে সময় দিতে গিয়ে অনেকেই পরিবার থেকে দূরে চলে আসেন। আর তখনই জীবনের বড় ভুলগুলো করা হয়। পরিবারকে সময় দিন। নিজের সাধ মেটাতে পরিবারকে ভুলে যাবেন না। কারণ, একটা সময় আপনি এতটাই ব্যস্ত হয়ে যাবেন যে চাইলেও পরিবারকে আর সময় দিতে পারবেন না।
৫। স্বাস্থ্যকে অবহেলা করা
প্রচলিত আছে স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। তাই স্বাস্থ্যের বিষয়টি একেবারেই অবহেলা করবেন না। এই সময়টাতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, দূরে ঘুরতে যাওয়া, রাতে বাড়ি না ফেরার কারণে বাইরের খাবার বেশি খাওয়া হয়। বিভিন্ন কারণে করা হয় প্রচুর অনিয়ম। এই সময় সমস্যাগুলো টের পাওয়া যায় না। কিন্তু পরে এই অবহেলার ফল ভোগ করতে হয়। তাই সময় থাকতে স্বাস্থ্যের দিক নজর দিন।
৬। প্রেমে পড়ার পারফেক্ট সময়
কুড়ি বছর বয়সের তরুণ তরুণীদের মধ্যে একধরণের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে, প্রেম করার পারফেক্ট সময় এটি। এই সময় প্রেমে ভালোবাসার চেয়ে ভালোলাগা বা আর্কষণ বেশি কাজ করে। শুধু ভালোলাগা দিয়ে কোন সম্পর্ক টিকে থাকে না। তাই প্রেমে জড়ানোর আগে ভাবুন তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
৭। ধৈর্য ধারণ না করা
কুড়ি বছরের তরুণ তরুণীরা সবকিছু দ্রুত চান। ধৈর্য ধারণ করুন, এবং লক্ষ্যকে ফোকাস রাখুন। উদ্যোক্তা মাটিসিয়া বলেন “ আমি কুড়ি বছর বয়সে সবকিছু দ্রুত পাওয়ার চেষ্টা করতাম। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সারাক্ষণ উদ্বেগে থাকতাম”। কিন্তু এই সময়ে ধৈর্য ধরতে পারলেই আসবে সার্থকতা।
মন্তব্য চালু নেই