বিশ্বের সবচেয়ে ঝাল মরিচ খেলেন এই দুই তরুণী, তারপর যা হলো…..
উদ্ভট চ্যালেঞ্জের ইতিহাসে নয়া সংযোজন এই ২ জন। কিন্তু, চ্যালেঞ্জবাজি করতে গিয়ে যা করলেন তাতে সকলেরই চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। একে নিছক পাগলামো ছাড়া আর কেউ কিছু বলতে চাইছেন না।
একজনের নাম লিজ্জি ওয়ার্স্ট। তার বয়স ১৮। অন্য জন স্যাবরিনা স্টুয়ার্ট। তার বয়স ২২। দু’জনেই একটি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই চ্যালেঞ্জ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, সহজে কেউ তা নিতে রাজি হবেন না। লিজ্জি ও স্যাবরিনার চ্যালেঞ্জ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ঝাল মরিচ ‘ক্যারোলিনা রেড পেপার’ খাওয়ার।
শুনে সহজ মনে হতে পারে। কিন্তু, ক্যারোলিনার ঝালের মাত্রা জানলে ভুলেও এই মরিচ হাতে তুলবেন না।
‘ক্যারোলিনা’র ঝালের মাত্রা অন্য সব মরিচের থেকে ৩০ হাজার গুণ বেশি এবং বিশ্বের সবচেয়ে ঝাল সস বলে খ্যাত ‘ট্যাবাসকো সস’-এর থেকে ৩০০ গুণ বেশি ঝাল। সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে এমন এক মরিচের পুরোটা খাওয়া কতটা কঠিন। এমনকী, একজনের জীবন পর্যন্ত চলে যেতে পারে।
লিজ্জি ও স্যাবরিনা রীতিমতো ভিডিও শ্যুটিং করে শুরু করেছিলেন লঙ্কা খেতে। দু’জনেরই কেউই পুরো লঙ্কা মুখে পুড়তে না পুড়তেই ত্রাহি ত্রাহি রব ফেলে দিলেন।
স্যাবরিনা হাত থেকে আধ খাওয়া লঙ্কাটাই ছুঁড়ে ফেলেন। লিজ্জি যেটুকু চিবিয়ে মুখে রেখেছিলেন তার সবটাই ফেলে দেন। কিন্তু, লঙ্কার ঝাল ততক্ষণে গ্রাস করেছে তাদেরকে।
চোঁখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসে লিজ্জির। ঝালে মুখ লাল হতে থাকে। লিজ্জি পরে জানান, মনে হচ্ছিল মুখ, বুকের ভিতর সমস্তটা জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। স্যাবরিনার অবস্থা আরো মারাত্মক হয়। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। ইনহেলার নিতে থাকেন। তাতে তার শারীরিক সঙ্কট কাটেনি। শেষমেশ বেডে শুইয়ে রেখে তার নাকে অক্সিজেনের নল ঢোকাতে হয়।
লিজ্জি পরে জানিয়েছেন, দুধ খেয়ে পরে ঝালের কব্জা থেকে মুক্তি পান। কিন্তু, ঝালের প্রভাব এতটাই ছিল যে প্রথমে দুধ খেয়েও কিছু হচ্ছিল না। অনেকটা সময় পর দুধের মধ্যে থাকা মাখন কাজ শুরু করলে ঝালের উপর প্রলেপ পড়ে।
আপাতত, সুস্থ আছেন লিজ্জি এবং স্যাবরিনা। আগামীদিনে তারা এমন চ্যালেঞ্জ নেবেন না বলেই জানিয়েছেন। অন্য চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন কিন্তু ক্যারোলিনাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো সাহস তাদের শরীরে আর নেই।-এবেলা
মন্তব্য চালু নেই