বিশ্বের বৃহত্তম ও সুন্দরতম গুহা (ভিডিও)

ভিয়েতনামে অবস্থিত সন ঢুং গুহা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গুহা। এর নিছক পাথুরে ক্লিফ, জঙ্গলের মত গাছপালা এবং জলবায়ুর কারণে আরও বেশি বিখ্যাত। ফটোগ্রাফার রায়ান ডেবুথ ভিয়েতনামের স্তব্ধ ও অপরিমেয় গুহার আকার ধারনের জন্য ড্রোনের ব্যবহার করেন। গুহাটি ৫.৫ মাইল দীর্ঘ, ৬৫০ ফুট চওড়া এবং ৫০০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট। তিনি ওই ড্রোনের সাহায্যে গুহাটির একটি দর্শনীয় ভিডিও তৈরি করেন।

গুহার ভিতর অনেকটা জঙ্গলের মতো। এখানে প্রবেশের জন্য ছোট ছোট প্যান রয়েছে। যারা দুঃসাহসিক অভিযান করতে পছন্দ করেন, তারা এখানে ঘুরে আসতে পারেন।

রায়ান আমেরিকার একজন নাগরিক। কিন্তু, তিনি বর্তমানে চীনের বেইজিং এ বসবাস করেন। তিনি এই গুহাটিকে ভিনগ্রহের মত বর্ণনা করেন।
তিনি বলেছেন, সন ঢুং এ তিনি এই নিয়ে তৃতীয় বারের মত বেড়াতে যান। একদম শেষ মুহূর্তে তিনি তার ড্রোনকে সাথে নিয়ে যাবার চিন্তা করেছেন। তিনি মূলত ছয় মাসের বন্যার নথিপত্র সংগ্রহের জন্য ক্যামেরাটি নিয়েছিলেন। কিন্তু, পরবর্তীতে তিনি গুহার ভিতরের দৃশ্য সংগ্রহ করেন।

রায়ানের গুহার ভেতরের দৃশ্য ধারণের জন্য আট দিন সময় অতিবাহিত হয়। তিনি গুহার ভেতর যাবার সময় তার নিরাপত্তার জন্য দড়ি, জুতা এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যান।

তিনি আরও বলেছেন, গুহার ভিতর অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, এর ভিতর কিছু সহজ বিষয় রয়েছে যা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আপনি যদি সোজা রাস্তা দিয়ে না যান এবং যাতায়াত পথ মনে রাখতে না পারেন, তাহলে অনেক বিষাদ এবং শ্রম লাগতে পারে। কারণ, গুহার সর্বত্র ক্ষেত্র হতে আপনি বের হতে পারবেন না।

রায়ান ব্যাখ্যা করেন, তিনি যদি গুহার ভেতর একটি ডাইনোসর দেখতে পেতেন, তাহলেও বিস্মিত বা ভীত হতেন না। তিনি বলেন, “গুহার ভেতর সবকিছু অবাস্তব মনে হয়। আমি নিজেকে তুচ্ছ ও ক্ষুদ্র অনুভব করছিলাম”।

গুহাটি প্রথম ১৯৯১ সালে একজন কৃষক আবিষ্কার করেন। তিনি একটি ঝড় থেকে আশ্রয় পাবার জন্য গুহার ভেতর অবস্থান করেন। এর পূর্বে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এটি ভিয়েতনামের দুর্গম এলাকায় পর্বতমালার তলদেশে ছিল, যা কারও নজরে পড়ে নি। পরবর্তীতে কৃষক আবার সেই গুহাটি খোঁজার চেষ্টা করেন। কিন্তু, সে খুঁজে পায় নি। পরে একদল লোকের সাথে মিলে তিনি গুহাটি আবার আবিষ্কার করেন।

২০০৯ সালে গুহায় প্রকাণ্ড ভূগর্ভস্থ নেটওয়ার্ক টানেল আবিষ্কার করা হয়। তখন আনুষ্ঠানিকভাবে গুহাটিকে বিশ্বের বৃহত্তম গুহার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
সন ঢুং গুহা নামের অর্থ হল “পর্বত নদী গুহা”। ২ থেকে ৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে নদীর পানি দুর্বল চুনাপাথরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হলে, এই গুহার সৃষ্টি হয়। রায়ানের করা ভিডিওতে গুহার ভেতরের ঘন সবুজ গাছপালা, গুহার ভেতরের হ্রদ ও নদী, খাঁজকাটা স্কচ এবং ভূগর্ভস্থ বিভিন্ন স্থান খুব ভালভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে।

vietnqm show1990-2009 (105)

–সূত্র: ডেইলি মেইল।

 



মন্তব্য চালু নেই