বিশ্বের প্রথম গর্বদাতা পুরুষের বিয়ে নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড়
নিজের স্ত্রী অ্যামবারকে বউয়ের বেশে আসতে দেখে চোখে জল চলে এসেছিল থমাস বিয়েটিসের৷ অ্যামবারের সঙ্গে সাত বছরের মেয়ে সুজ্যানও সেজে ছিল সুন্দর পোষাকে৷ তাঁর দু’ছেলে অস্টিন ও জেসেনকেও লাগছিল বেশ৷
কিন্তু কে এই থমাস বিয়েটিস? আর কেনই বা এত সাজ তাদের?
জানতে হলে স্মৃতির চাকাকে পেছনে ঠেলে যেতে হবে একটু রিভার্সে, ২০০৮ সালে৷ সমগ্র বিশ্বে সাড়া ফেলে গিয়েছিল একটা খবর- সন্তানের জন্ম দিলেন বাবা৷ থমাস বিয়েটিস হলেন সেই গর্ভদাতা বাবা৷ জানা গিয়েছিল,বিয়েটিস জন্মে ছিলেন নারী হিসেবে কিন্তু ২৩ বছর বয়স থেকে চিকিৎসার মাধ্যমে পুরুষে পরিণত হয়৷ কিন্তু সে নিজের যৌনাঙ্গের পরিবর্তন ঘটায়নি৷ ফলে সে হয়ে উঠেছিল আধুনিক বিজ্ঞানের কাছে এক অদ্ভুত অবিষ্কার৷
দ্বিতীয়বার বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থমাস বিয়েটিস জানিয়েছেন, যখন তিনি দেখলেন যে বউয়ের সাজে অ্যামবার নেমে আসছে এবং সঙ্গে রয়েছে তাঁর মেয়ে৷ সকলে সুন্দর ভাবে সেজে রয়েছে৷ তখন আর চোখের জল ধরে রাখতে পরেননি৷ নিজের কল্পনার চেয়ে অনেক বেশি কিছু পেয়েছেন জানিয়েছেন বিয়েটিস৷ নিজের থেকে দশ বছরের বড়ো দু’সন্তানের মা এক মহিলার সঙ্গে আগে বিয়ে হয়েছিল বিয়েটিসের৷ কিন্তু প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে ২০১২ সাল থেকেই বিচ্ছেদের মামলা চলছিল৷ তিনি জানিয়েছেন প্রতিটা পরিস্থিতি কঠিন থেকে আরও কঠিনতর হয়ে উঠছিল৷ তবুও হাল ছাড়েননি৷ অবশেষে বিয়ে করলেন বর্তমান প্রমিকা অ্যাম্বার নিকোহলসকে৷
মন্তব্য চালু নেই