বিশ্বের কিছু অদ্ভুত এবং সুন্দর গাছ
মানুষ অনেক আগে থেকেই জানে যে, বিশ্বে গাছ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে মুক্তি পেতে এরা আমাদের ছায়া দেয়, মাটির ক্ষয় রোধ করে, এবং বায়ু প্রদানে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এখানে বিশ্বের কিছু আশ্চর্যজনক, অদ্ভুত এবং সুন্দর কিচু গাছ সম্পর্কে দেয়া হল:-
বাওবাব গাছ:
আফ্রিকান নেটিভ অঞ্চলের এই গাছগুলু দেখলে মনে হবে কোনও গ্রহ থেকে এসব গাছ এসে পড়েছে। এদের ভীষণ মোটা গুঁড়ি পানি জমিয়ে রাখতে কাজে লাগে।
ড্রাগণ ব্লাড গাছ:
যদিও এই গাছের নামটি শুনতে বেশ ভয়ানক লাগে তারপরেও এই গাছটি দেখতে বেশ অদ্ভুত এবং সুন্দর লাগে ইয়েমেনের সানা দ্বীপে। এই গাছের বিভিন্ন অংশ হোমিওপ্যাথির কাজে লাগে যেমন গাছের মূলের কষ টুথপেস্ট বযবহারে লাগে, রজন এর গভীর লাল রং ছাপানো কাজে ব্যবহার করা হয়।
উইস্তেরিয়া গাছ:
জাপানের ১৪৪ বছরের পুরনো উইস্তেরিয়া গাছ। এই সুন্দর ফুল গাছটি আসলে মটর পরিবারের সদস্য। এই ফুলের গাছটি বিভিন্ন রকমের স্পন্দনশীল রঙের হয়ে থাকে যেমন- সাদা, গোলাপি, বেগুনী এবং নীল।
গিয়ান্ত সিকুওইয়া গাছ:
এটা উদ্ভিদকুলের বিশাল প্রজাতির আশ্চর্যজনক গাছ। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গাছ। গিয়ান্ত সেকুওইয়া আপনি খুঁজে পেতে পারেন ক্যালিফোর্নিয়ার সিএররা নেভাডা বনে।
বট গাছ:
ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের এটি জাতীয় গাছ। এটি একটি পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ। এটা যে অনেক পুরনো উদ্ভিদ তা সাধারনত খুব সহজেই চিহ্নিত করা যাই এর মাটির সাথে ঠেকানো শিকড় দেখে।
ওক গাছ:
এতা খুব সাধারন এবং বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ। সাধারনত এই উদ্ভিদের কাঠের জন্য এটা সারা বিশ্বে বিখ্যাত। উত্তর আয়ারল্যান্ডে ১৮শ শতক থেকে এই গাছগুলু ছায়া দিয়ে যাচ্ছে এবং তৈরি করেছে রহস্যময় এক সৌন্দর্য।
রেইনবো ইউক্যালিপটাস গাছ:
এটা দেওয়ালে আচ্ছাদিত গাছের মতো লাগে, এটা এমনভাবে বেড়ে উঠে যায় যাতে ভেতরের ভিবিন্ন রঙের স্তর দেখা যায়, অনেকটা রংধনুর মতো মনে হয় এই উদ্ভিদকে। এটা সাধারনত লকেইলের উত্তর গোলার্ধের স্থানীয় অঞ্ছল যেমন নিউ গিনি এবং নিউ ব্রিটেনে পাওয়া যায়।
ম্যাপল গাছ:
এটা অপেক্ষাক্রিত অন্যান্য মাসের তুলনায় বসন্ত এবং গ্রীষ্মকালে বেশী দেখা যায়। সাধারনত এই উদ্ভিদে চোখ জুড়ানো অনেক রঙের সংমিশ্রণ রয়েছে যেন দেখলে মনে হবে গাছটিতে আগুন ধরেছে। এই গাছটি জাপানের অরিগনের পোর্টল্যান্ডে অবস্থিত।
মাঙ্কি পাজল গাছ:
এটা চিলির জাতীয় গাছ। এটা একটি চিরহরিৎ প্রজাতির উদ্ভিদ যেটা একটি ৭ ফুট চওরা শুঁড়ের সাথে ১৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এটাকে অনেক সময় জীবন্ত জীবাশ্ম উদ্ভিদ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
সুতরাং পরিশেষে বলা যায়, উপরে বর্ণিত অদ্ভুত উদ্ভিদ ছারাও বিশ্বে এরকম আশ্চর্যজনক, বিস্ময়কর আরও উদ্ভিদ আছে যেগুলোও দেখতে অনেক সুন্দর।
সুত্র: ললওত।
মন্তব্য চালু নেই