‘বিশ্ববেহায়া’ সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণায় লিপ্ত : বিএনপি

বর্তমান সরকারকে ‘বিশ্ববেহায়া’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নৈতিকতা বিবর্জিত একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা লুট করে সরকার এখন জনগণের সঙ্গে প্রতারণায় লিপ্ত।

বিচারবহির্ভূত হত্যার দায়মুক্তির বিষয়ে সরকার আইন করার তৎপরতা চালাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন, এই আইন শেষ নয়, ভবিষ্যতে আরো আইন হবে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সালাহ উদ্দিন।

সালাহ উদ্দিন বলেন, “সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নামে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও নৈতিকতা বিবর্জিত প্রহসনমূলক একটি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা লুণ্ঠন করে বিশ্ববেহায়া সরকার এখন জনগণের সঙ্গে প্রতারণায় লিপ্ত। সংসদে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা মিলেমিশে বাটোয়ারায় নির্বাচিত। এমনকি এরশাদসহ তার দলের বেশ কয়েকজনকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ার পরও জোরপূর্বক নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।”

বিবৃতিত বলা হয়, “১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ অনেক বিরোধী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি এবং অনেক প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পরও ফল ঘোষণা করা হয়নি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে উল্টো প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর আওয়ামী লীগ দলীয় এবং জাতীয় পার্টির (এরশাদ) অনেক প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।”

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে গণতন্ত্রে কখনোই বিশ্বাসী ছিল – এমন দাবি করে সালাহ উদ্দিন বলেন, “বর্তমানে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের মোড়কে একদলীয় বাকশাল কায়েমের তৎপরতায় লিপ্ত।” তবে জনগণ সব সময় একদলীয় শাসন প্রত্যাখান করেছে; এখনো গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর বলে সরকারকে সতর্ক করে দেন তিনি।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আন্দোলন দমনে গণহত্যার লাইসেন্স প্রদান করার পর এখন হত্যার দায়মুক্তির আইন করার সরকারি তৎপরতার খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে। শাসকগোষ্ঠীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- এই আইন শেষ আইন হবে না; ভবিষ্যতে আরো আইন হবে। অসাংবিধানিক, মৌলিক ও মানবাধিকার হরণকারী কোনো আইন আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না।”

ক্ষমতাসীন মহল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় কর্তাব্যক্তির উদ্দেশে পৃথিবীর অন্যান্য গণহত্যাকারী স্বৈরশাসক ও তার দোসরদের পরিণতির দিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দিয়ে সালাহ উদ্দিন বলেন, “জনগণ আপনাদের নারকীয় কর্মকাণ্ডের সব রেকর্ড সংগ্রহ করেছে।”

বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দাবি করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, “আমরা জাতীয় রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংলাপ-সমঝোতায় বিশ্বাসী। সংকট নিরসনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের সব উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।” তিনি বলেন, “সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই সরকারি মহলের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে জনগণ আশা করে। অন্যথায় উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে।”

বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম ও যশোরের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাসায় একযোগে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানানো হয় বিবৃতিতে।



মন্তব্য চালু নেই