বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া জীবনের ষোল আনাই বৃথা
কথায় আছে-“বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া জীবনের ষোল আনাই বৃথা।” কথাটার সত্যতা সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করা যায় একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাসহ চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থাগুলো মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্কুল কিংবা কলেজ লাইফে শিক্ষার্থীরা অনেকটা বাবা-মার হাত ধরে কিংবা শিক্ষকদের কড়া নজরের মধ্য দিয়ে এ ধরণের আনন্দে অংশগ্রহণ করে থাকে। স্কুল ও কলেজের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে এসে একজন ব্যাক্তি মানুষের স্বাধীনতা পৌছায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে আরও পৌছে যায়কবির ভাষায়‘বিশ্বজোড়া পাঠশালায়’। তাই এতকিছুকে একসাথে সম্পন্ন করার জন্য ও তা থেকে শিক্ষা অর্জনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সঠিক শিক্ষাব্যাবস্থা ও তার পাশাপাশি মনকে উৎফুল্ল রাখতে আনন্দ উৎসবের ব্যাবস্থা।
তেমনই আনন্দ উৎসব আয়োজনে পটু সাভারের বেসরকারী গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসী বিভাগ। সঠিক পাঠদানের সাথে সাথে নিয়মিত শিক্ষাভ্রমণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগ থেকে একধাপ এগিয়ে আছে ফার্মেসী বিভাগ। সেই ধারা অনুসারে গত ২৪ জানুয়ারী (শনিবার) ফার্মেসী বিভাগ ঘুরে এল যমুনা রিসোর্টসহ টাঙ্গাইলের দর্শনীয়স্থানগুলোত।
সম্প্রতি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে মানসিক প্রফুল্লতা বৃদ্ধি করতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে ছিল এ আয়োজন। দেশের চলতি পরিস্থিতি খারাপ থাকার দীর্ঘ আনন্দভ্রণের পরিকল্পনাকে পরিত্যাগ করে এ ধরণের আয়োজন করল ফার্মেসী বিভাগ এবং একই কারণে ফার্মেসী বিভাগের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা অংশগ্রহণ করেছিল।
শনিবার সকাল ৮টায় নাশ্তা সেরে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বাস ছেড়ে দেয়। সারাদিন টাঙ্গাইল জেলার দর্শনীয়স্থানগুলো ঘুরে দেখার পর দূপুরে বাস পৌছায় যমুনা রিসোর্টে। সেখানে পৌছে দূপুরে খাবার খেয়ে সবাই বেরিয়ে পড়ে নদীকে উপভোগ করতে।
নদীতে ঘোরা ছাড়াও গোসল করার ধুম পড়ে যায় সবার। এরপর খেলাধুলার আয়োজন সেরে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে মেতেছিল সবাই।সন্ধ্যার পর আবারও বাসে চড়ল সবাই আর প্রবল আনন্দভরা প্রফুল্ল মনে ফিরল সেই পরিচিত স্থান প্রিয় ক্যাম্পাসে।
এছাড়াও ২০১৪ সালে কক্সবাজার ও সিলেটে আনন্দভ্রমণ সম্পন্ন করেছিল ফার্মেসী বিভাগ। সেবার আয়োজনের ধরণ ছিল আরও জাঁকজমকপূর্ণ এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণও ছিল আরও বেশি।
এ সম্বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষক আফজালুস সিরাজ জানান-“আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণরূপে মানসিক বিকাশ ঘটুক। তাই এ ধরণের আয়োজন হয়ে আসছে আগে থেকে এবং ভবিষ্যৎেও চলবে।
মন্তব্য চালু নেই