বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী হত্যা : প্রেমিক রাসেলের ফাঁসি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাইদা আক্তার সাওদা হত্যা মামলার প্রধান আসামি প্রেমিক রাসেল মাতুব্বরকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দন্ডপ্রাপ্ত রাসেল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি গিয়াস উদ্দিন কাবুল মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস সংলগ্ন ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকায় বসে ধারালো দা দিয়ে হিসাব বিজ্ঞান (একাউন্টিং) বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্রী সাওদাকে কুপিয়ে হত্যা করে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাসেল মাতুব্বর। স্থানীয়রা মুর্মুর্ষ অবস্থায় সাওদাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। আশংকাজনক অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারযোগে সাওদাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে ওইদিন সন্ধ্যায় সাওদার মৃত্যু হয়। এঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহত সাওদার মা শাহিদা বেগম বাদি হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় রাসেলকে প্রধান আসামি করে আরো ৩/৪জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর হত্যাকারী রাসেলকে চট্টগ্রাম বন্দর থানার কলসদিঘী এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. শাখায়াত হোসেন ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে একমাত্র রাসেলকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত মামলার ২৭জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত সাওদার পিতা আব্দুর রাজ্জাক মিয়া। অপরদিকে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, নিহত সাওদা বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার হাতেমপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার কন্যা। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত রাসেল মাতুব্বর একই উপজেলার জ্ঞানপাড়া গ্রামের হারুন মাতুব্বরের পুত্র। তাদের সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। ওই সম্পর্কের অবনতি হওয়ার জেরধরে সাওদাকে কুপিয়ে হত্যা করে রাসেল মাতুব্বর।
মন্তব্য চালু নেই