বিশ্বকাপে দেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ

বিশ্বকাপের পঞ্চম আসর খেললেও বাংলাদেশের আক্ষেপ ছিল একটি সেঞ্চুরির। অ্যাডিলেডে সোমবার সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম মিস করলেও মাহমুদউল্লাহ ভুল করেননি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেঞ্চুরিয়ান এখন তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আজ অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দেশের পক্ষে ইতিহাস গড়লেন মাহমুদউল্লাহ।

১৩১ বলে ১০০ রান করেন তিনি। এটি শুধু বিশ্বকাপের বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিই নয়, মাহমুদউল্লাহরও ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরিতেই ইতিহাস গড়লেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২২৬ রান করেছে ৪৩.৩ ওভারে।

দুর্দান্ত ব্যাটিং করে মুশফিকও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ২১তম হাফ সেঞ্চুরি করেন মুশফিক ৪৯ বলে। ভায়রা ভাই মাহমুদউল্লাহকে যোগ্য সঙ্গ দেন তিনি। দুজন চাপে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তোলেন। দলকে বড় রানের পথে এগিয়ে দেন। তাদের জুটি ছাড়িয়েছে শত রানও।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল অ্যান্ডারসনের শিকার হন। ইনিংসের চতুর্থ বলেই ক্রিস জর্ডাদের হাতে ক্যাচ দেন ইমরুল। তৃতীয় ওভারে তামিম স্লিপে ক্যাচ অনুশীলন করান রুটকে।

শুরুর ধাক্কা বেশ সাহসিকতার সঙ্গেই কাটিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল টাইগাররা। কিন্তু খুব কম সময়ের মধ্যে সৌম্য-সাকিবের বিদায়ে উল্টো চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ। দলীয় ৯৪ রানে সৌম্য ক্রিস জর্ডানের বাউন্সারের শিকার হন। ৪ রান পরই মঈন আলীর বলে স্লিপে সাকিব সহজ ক্যাচ তুলে দিলেন।

মাহমুদউল্লাহ- সৌম্যর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৬ রান যোগ হয়। বড় রানের একটা ভিতও পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্রুত উইকেট হারিয়ে সেটি বাধাগ্রস্ত হলো। সৌম্য ৫২ বলে ৪০ রানের (৫ চার, ১ ছয়) ইনিংস খেলেন। সাকিব করেন ২ রান।
একাদশে এসেছে দুটি পরিবর্তন। ইনজুরি আক্রান্ত এনামুল হক বিজয়ের বদলে ইমরুল কায়েস আর নাসির হোসেনকে বসিয়ে আনা হয়েছে স্পিনার আরাফাত সানিকে।



মন্তব্য চালু নেই