বিশ্বকাপের সেরা দশে রুবেল হোসেন
বিশ্বকাপের ১১তম আসরে রুবেল হোসেনের খেলা নিয়েই সংশয় ছিল। আর সেই রুবেলই কি না জায়গা করে নিলেন বিশ্বকাপের সেরা দশে।
নাজনীন আক্তার হ্যাপির করা মামলায় তাকে যেতে হয়েছিল কারাগারে। মামলা তখনো নিষ্পত্তি হয়নি। দুঃশ্চিন্তার বোঝা মাথায় নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যান রুবেল। কিন্তু সেই দুঃশ্চিন্তা দূরে ঠেলে মাঠে নেমেই বাজিমাত করেন তিনি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে তার করা প্রথম বলেই তুলে নেন উইকেট। চমকের শুরু সেখানেই। এরপর কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যে কয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন, নিজের সেরাটা ঢেলে দিয়েছেন। দুরন্ত রুবেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল দুর্দান্ত গতিতে।
তবে রুবেল সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে। তার আগুন-ঝরা বোলিংয়ে গ্রুপপর্ব থেকেই অশ্রুসিক্ত বিদায় নিশ্চিত হয় ইংলিশদের। গুরুত্বপূর্ণ ওই ম্যাচে জয়ের নায়ক ছিলেন রুবেল! যদিও ম্যাচ-সেরার পুরস্কার ওঠে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে।
অবিস্মরণীয় এক জয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেয়ে যায়। সেই ম্যাচে ৯.৩ ওভার বল করে ৫৩ খরচায় ৪ উইকেট নেন রুবেল। তিনি বড় চমকটা দেখিয়েছিলেন নিজের করা শেষ ওভারটিতে। দুটি দুর্দান্ত রিভার্স সুইংয়ে স্টুয়ার্ট ব্রড আর জেমস অ্যান্ডারসনের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন।
বাংলাদেশের তারকা এই পেসার নজর কেড়েছিলেন গোটা বিশ্বের ক্রিকেটভক্তদের। এক কথায় অসাধারণ পারফরম্যান্স! যা তাকে স্থান করে দিয়েছে ১১তম বিশ্বকাপের সেরা দশে। তালিকায় রুবেলের নাম রয়েছে ৭ নম্বরে।
এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপের বোলিংয়ে সেরা দশে স্থান পেয়েছেন যারা :
১. রবিচন্দ্রন অশ্বিন (পাকিস্তানের বিপক্ষে, ৮-৩-৪১-১)
২. টিম সাউদি (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ৯-০-৩৩-৭)
৩. হামিদ হাসান (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ৯-০-৪৫-৩)
৪. শাপুর জারদান (স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে, ১০-১-৩৮-৪)
৫. ট্রেন্ট বোল্ট (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ১০-৩-২৭-৫)
৬. মিচেল স্টার্ক (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ৯-০-২৮-৬)
৭. রুবেল হোসেন (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯.৩-০-৫৩-৪)
৮. ইমরান তাহির (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ৮.২-০-২৬-৪)
৯. ওয়াহাব রিয়াজ (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ৯-০-৫৪-২)
১০. জেমস ফকনার (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ৯-১-৩৬-৩)।
মন্তব্য চালু নেই