বিলুপ্ত হবার পূর্বে যে স্থানসমূহ ভ্রমণ করা উচিৎ
নিয়তি পর্যটন শুনেছেন কখনও? এই পর্যটন হল যে সমস্ত যায়গায় যাওয়া হুমকি স্বরূপ সে সমস্ত স্থানে ভ্রমণে যাওয়া। তবে তা করার প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর কিছু আশ্চর্য নিদর্শন রয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ ও বিভিন্ন অনুন্নয়নের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই, এসব স্থান সর্বস্বান্ত হবার পূর্বে অবশ্যই একবার ভ্রমণ করা উচিৎ। সে স্থানগুলো হল-
১. মালদ্বীপ:
মালদ্বীপের অত্যাশ্চর্য সৈকত ও স্কুবা ডাইভিং এর জন্য অত্যন্ত প্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র। মালদ্বীপ দ্বীপমালার রাজ্য। এখানে ১১৯০টি প্রবাল দ্বীপ রয়েছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র একটি দেশ। এর দ্বীপপুঞ্জগুলো মাত্র কয়েক ফুট সমুদ্রের উপরে অবস্থিত। তাই, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে মালদ্বীপের বিভিন্ন পরিবর্তন সাধিত হয়।
২. মাজুলি আইল্যান্ড:
মাজুলি আইল্যান্ড ভারতের সবচেয়ে বৃহত্তম নদীর দ্বীপ। এটি আসামের ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। এই সুন্দর সবুজ জলাভূমি শীতকালে পরিযায়ী পাখিদের আকর্ষণীয় একটি স্থান। এছাড়াও এই স্থানের নিজস্ব ঐতিহ্য ও উৎসবের জন্যও অনেক বেশি বিখ্যাত। ব্রহ্মপুত্রের স্রোতের কারনে প্রতি বছর ভূমিক্ষয় হয়। যার ফলে মাজুলি দ্বীপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতি বছর মাজুলি দ্বীপ আরও বেশি সংকুচিত হচ্ছে। তাই, এটি বিলুপ্ত হবার পূর্বে অবশ্যই ভ্রমণ করা উচিৎ।
৩. দ্যা ডেড সি (মৃত সাগর):
পৃথিবীর একটি মাত্র স্থান যেখানে আপনি সাঁতার না জেনেও পানিতে ভাসতে পারবেন। মৃত সাগর আসলে একটি হ্রদ। সমুদ্রের জলের তুলনায় এই হ্রদের পানি আরও দশগুণ বেশি লবনাক্ত হয়। এতে অনেক খনিজ পদার্থ রয়েছে বলে মনে করা হয়। গত ৪০ বছরে এটি ৮০ ফুট সঙ্কুচিত হয়েছে। কারন, এটি জর্ডানের নদী দ্বারা বেষ্টিত। আর, জর্ডান নদী তাজা জলের একমাত্র উৎস।
৪. কিলিমাঞ্জারো পর্বত:
আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত, যা তার স্বাতন্ত্র্যসূচক বরফ মুকুট পরিহিত সামিটের জন্য বিখ্যাত। পর্বতটি একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি। এটি একটি জনপ্রিয় ট্রেকিং স্পট । এর পার্শ্ববর্তী সমতল অঞ্চল এবং শিখরের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য উপলব্ধ করার মত। গত শতাব্দী ধরে , পর্বতের ৮০ শতাংশের অধিক সঙ্কুচিত হয়ে গেছে এবং পরবর্তী কয়েক দশকে সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
৫. আর্কটিক:
উত্তর মেরুর রাক্ষুসে আইসবার্গ, মেরু ভালুক এবং সুমেরুপ্রভার জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত। তবে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং বরফ স্তর গলার কারনে পেঙ্গুইনদের জীবন এখন হুমকির মুখে। এছাড়াও, সে অঞ্চলের বাস্তুসংস্থানে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
এই পাঁচটি অঞ্চল অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয় হলেও এগুলো বিলুপ্তির পথে এগোচ্ছে। তাই, এসব স্থান হারিয়ে যাবার পূর্বে অবশ্যই ভ্রমণ করে আসুন।
সূত্র: হ্যাপি ট্রিপস।
মন্তব্য চালু নেই