বিলুপ্তির পথে চামড়া শিল্প

ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা একটি আদর্শ উপজেলা। সমগ্র উপজেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় ৩০টিরও বেশি হাট বাজার রয়েছে। ইতিহাসখ্যাত নেকমরদ হাট ও কাতিহার হাট সবচেয়ে বড় হিসাবে পরিচিত। এ হাট দুটিতে প্রতি সপ্তাহে দুদিন গরু ছাগল ও মহিষের বড় হাট বসে। অনেক গরু ছাগল কেনা বেচা হয়। সমস্ত উপজেলায় প্রায় প্রতিদিন একশর ও অধিক গরু ছাগল জোবাই করা হয়। যা মানুষের মাংসের চাহিদা পূরণ করে।

কিন্তু এসব গরু ছাগলের চামড়ার দাম এতটায় সস্তা যা অকল্পনীয়। প্রতিটি ছাগলের চামড়া ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা এবং গরুর চামড়া ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রী হয়। এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকা, নাটোর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও থেকে আগত চামড়া ক্রয় মহাজনদের কাছে স্বল্প দামে চামড়া বিক্রী করতে বাধ্য হন। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রায় সময় লোকসান গুনতে হয়।

তথ্য মতে বাংলাদেশের স্কীন গোল্ড হিসেবে পরিচিত চামড়া ও চামড়া জাতদ্রব্য রপ্তানী করে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, কোরিয়া, ভারত, বেলজিয়াম, পোল্যান্ডের মত দেশগুলোতে রপ্তানী করে জাতীয় আয়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ ভাগ আসতো এই শিল্প থেকে। অথচ আজ সেই শিল্প হুমকির মুখে।

আগামী ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রচুর পশু কুরবানী হবে এবং স্থানীয় ভাবে চামড়ার আমদানীও বাড়বে কিন্তু এলাকার ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা পুজি খাটিয়ে চামড়া কিনে মজুত করতে রীতিমত ভয় পাচ্ছেন।

আরো বলেন ব্যবসায় এমন মন্দা ভাব চলতে থাকলে বেশি দিন এই ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। কয়েক জন বড় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন বাংলাদেশে চামড়া শিল্পের প্রতি একটু সু-নজর দিলে আবারও এই ঐতিহ্যবাহী চামড়া শিল্পকে বাচানো যাবে এবং পৃথিবীর অনেক দেশে চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্যাদি রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করাও সম্ভব হবে বলে তারা মনে করছেন।

বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিতে এলেই হয়তো বা আগামী ঈদুল-আযহার ঈদে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন।



মন্তব্য চালু নেই