বিলিংসকে ফেরালেন মোসাদ্দেক
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের দেয়া ২৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভালোই জবাব দিচ্ছে সফরকারী ইংল্যান্ড। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইংলিশদের সংগ্রহ ২৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান। জনি বেইস্টো ২ এবং বেন ডাকেট ৩২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তোলে টাইগাররা।
দলের পক্ষে মুশফিকুর রহিম সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন। এছাড়া সাব্বির রহমান ৪৯, ইমরুল কায়েস ৪৬, তামিম ইকবাল ৪৫ এবং মোসাদ্দেক ৩৮ রান করেন।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড জুটি গড়েন। তাদের জুটিতে আসে ৮০ রান।
ওপেনিং জুটি ভাঙেন বেন স্টোকস। ইমরুল কায়েসকে ৪৬ রানে সাজঘরে পাঠান তিনি। ইমরুলের পর তামিমও দ্রুতই ফিরে যান। তিনি ৪৫ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন।
এদিন প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম। তামিম আউট হলে মাঠে নামেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি আজ ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। মাত্র ৬ রান করে আউট হন তিনি। এবারও বোলার আদিল রশিদ।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়েন সাব্বির রহমান। এরপরই আদিল রশিদের বলে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির। তিনি ৪৬ বলে ৪৯ রান করেন।
সাব্বিরের পর দ্রুতই ফিরে যান সাকিব আল হাসান। তিনি মাত্র ৪ রান করে মঈন আলীর বলে স্টাম্প হন। নাসিরও ব্যর্থ হয়েছেন আজ। তিনিও ৪ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন।
এরপর মোসাদ্দেককে সাথে নিয়ে ৮৫ রানের কার্যকর জুটি গড়েন মুশফিক। মুশফিক তুলে নেন নিজের ২৩তম ওডিআই ফিফটি। শেষ পর্যন্ত মুশফিক ৬২ বলে ৬৭ এবং মোসাদ্দেক ৩৯ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
২৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ৬৩ রান সংগ্রহ করে। তাদের ওপেনিং জুটি ভাঙেন নাসির হোসেন। ভিঞ্চকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ভিঞ্চ ৩২ রান করেন। এরপর ডাকেটকে সঙ্গে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়েন বিলিংস। বিলিংসকে ৬২ রানে সাজঘরে পাঠান মোসাদ্দেক।
৩ ম্যাচের সিরিজ ১-১ এ সমতা থাকায় শেষ ম্যাচটি যে দল জিতবে তারাই সিরিজে জয়ী হবে।
মন্তব্য চালু নেই