বিলম্ব হচ্ছে সালাহ উদ্দিনের মুক্তি

ভারতে আটক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের মুক্তির বিষয়টি বিলম্ব হচ্ছে। অসুস্থতার কারণে আদালতে তুলতে না পারায় তার মুক্তির সব আনুষ্ঠানিকতাও দেরি হচ্ছে। শনিবার শিলং টাইমস এ খবর দিয়েছে।

গত সোমবার ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে আটক সালাহ উদ্দিন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা পুরোপুরি ঠিক না হওয়ায় তাকে আদালতে নিতে রাজি হয়নি মেঘালয় পুলিশ। চিকিৎকরাও এ ব্যাপারে ঝুঁকি নেননি। শনিবার ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আদালতে তোলা হচ্ছে না তাকে। তাই পরবর্তী সপ্তাহে তাকে আদালতে তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

সালাহ উদ্দিন অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে নিতে ইতিমধ্যে অসম্মতি জানিয়েছে মেঘালয় পুলিশ। সেখানকার দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অনুপ্রবেশের ব্যাপারে তাকে জেরা করেছেন।

বাংলাদেশ থেকে তার সঙ্গে দেখা করতে শিলং জেনারেল হাসপাতালে আসা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি শুক্রবার জানিয়েছেন, তিনি (সালাহ উদ্দিন) প্রতিনিয়ত সিঙ্গাপুরে হার্টের চিকিৎসা করাতেন। এখানে সেই চিকিৎসা নেই। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

জনি বলেন, ‘তাকে দেখে অসুস্থ মনে হয়েছে। তিনি হার্ট ও কিডনির সমস্যার কারণে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না।’

বিএনপির কার্যনিবার্হী সূত্রমতে, তিনি (সালাহ উদ্দিন) ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতের বাইরের কোনো দেশে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করবেন। তারা এ বিষয়টি আদালতে মীমাংসা করতে স্থানীয় জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

তবে এ সব কিছু সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে। এখনো ভিসা না পাওয়ায় তিনি ভারতে যেতে পারছেন না। তবে সালাহ উদ্দিনকে বাইরের দেশে নিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন হবে বলে জানায় সংবাদমাধ্যমটি।

সোমবার মেঘালয়ের শিলং থেকে আটক হন সালাহ উদ্দিন। এ সময় পুলিশকে তিনি বিদেশ ভ্রমণের বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। তাই তার বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। তাই চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পাবেন কি না, তা নিয়ে বেশ সন্দেহ রয়েছে।

স্থানীয় আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রথমত আদালত তাকে বিচারের জন্য কারাগারে পাঠাতে পারেন। এমনকি তার তিন থেকে ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে।

গত মার্চ থেকে ‘নিখোঁজ’ সালাহ উদ্দিন কীভাবে সেখানে গেলেন তা নিয়ে এখনো রহস্য রয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, একটি ঘুপচি ঘরে তাকে প্রায় দুই মাস আটকে রাখা হয়েছিল। এরপর চোখ বেঁধে কয়েকটি গাড়ি পরিবর্তন করে তাকে এখানে আনা হয়। তবে কারা তাকে এখানে এনেছে সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।



মন্তব্য চালু নেই