বিরোধী দলের সরকারি দাপট

আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পর এবার ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) ভাড়া অথবা খালি বিলবোর্ডগুলো দখল করে নিল জাতীয় পার্টি (জাপা)। আগামী ১ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে দলটি। এ মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সাঁটানো হয়েছে দুই শতাধিক বিলবোর্ড। এর জন্য ডিসিসির কোনো অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি তারা।

জাপার সূত্র জানায়, মহাসমাবেশকে সফল করার জন্য কেন্দ্র থেকেই বিলবোর্ড তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়। সেসব বিলেবোর্ডে চেয়ারম্যান, রওশন এরশাদ ও মহাসচিবের ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।

চলতি মাসের ২০ ডিসেম্বর থেকেই বিলবোর্ড দখলের কাজ শুরু হয়। তৈরির পরই সেগুলো রাতের আঁধারে সাঁটানো হয় রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে। আর এ কাজে জাপা ও ছাত্র সমাজের কর্মীরা সহায়তা করেছে।

২০০ বিলবোর্ডের মধ্যে এককভাবে ৪০টি বিলবোর্ড সাঁটিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৫ আসনের এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। বাবলার তৈরি বিলবোর্ডগুলোতে তার ছবি, এরশাদ ও মহাসচিবের ছবি যুক্ত করা হয়েছে। নিজ সংসদীয় এলাকায় যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকাতেই বেশি বিলবোর্ড সাঁটিয়েছেন তিনি। দেয়া হয়েছে।

ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড সাঁটানোর কাজে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং প্রশাসন তাদের সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছেন জাপা নেতাকর্মীরা।

জাপা সূত্র জানায়, সমাবেশকে লক্ষ্য করে কে কয়টি বিলবোর্ড দখল করতে পারবে এ নিয়ে দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। এ জন্য নির্দেশ দিয়েছেন দলের মহাসচিব বাবলু ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল। ফলে দলের নেতাকর্মীরা রাতের আঁধারেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান টার্গেট করে বিলবোর্ড সাঁটিয়ে দেন।

আরও জানা গেছে, চলতি মাসের ২০ ডিসেম্বর থেকেই বিলবোর্ড দখলের কাজ শুরু হয়।২০০ বিলবোর্ডের মধ্যে এককভাবে ৪০টি বিলবোর্ড সাঁটিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৫ আসনের এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। নিজ সংসদীয় এলাকা যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদে বেশি বিলবোর্ড দিয়েছেন তিনি।

জাপার একজন নেতা বলেন,ছাত্র সমাজের নেতারা ছাড়াও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে এসব বিলবোর্ড সাঁটানোর কাজে।

রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে এভাবেই অনুনমোদিত বিলবোর্ড সেঁটেছে জাপা বিরোধী দলের সরকারি দাপট

জাপা সূত্র জানায়, সমাবেশকে লক্ষ্য করে কে কয়টি বিলবোর্ড দখল করতে পারবে এ নিয়ে দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। এ জন্য নির্দেশ দিয়েছেন দলের মহাসচিব বাবলু ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল। ফলে দলের নেতাকর্মীরা রাতের আঁধারেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থঅন টার্গেট করে বিলবোর্ড সাঁটিয়ে দেন।

ওই নেতা বলেন,‘বিল বোর্ড সাঁটাতে সরকার ও প্রশাসন বেশ সহায়তা করেছে। তারা না চাইলে আমরা কাজটি শেষ করতে পারতাম না।’

এদিকে ডিসিসি সূত্র জানায়, রাজধানীতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ৭৯১টি বিলবোর্ড রয়েছে। এছাড়া পাঁচ শতাধিক বিলবোর্ড রয়েছে অবৈধ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে জাপার সমাবেশ ও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী কেন্দ্র করে এসব বিলবোর্ডর অধিকাংশই দখল হয়ে গেছে।

সিটি করপোরেশন থেকে বিলবোর্ড ভাড়া নেয়া একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রাতের আঁধারেই কে বা কারা তাদের ভাড়া নেয়া বেশ কয়েকটি বিলবোর্ড দখল করে সমাবেশের বিলবোর্ড সাঁটিয়েছে।

এ সত্যতা স্বীকার করলেন জাপার এক প্রেসিডিয়াম সদস্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘মহাসচিব ও স্যার (এরশাদ) আমাদেরকে বিএনপির মতোই প্রচারণা চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে দেশের মানুষ বুঝতে পারে আমরা বড় একটি সমাবেশ করতে যাচ্ছি এবং তাতে ব্যাপক লোক সমাগম ঘটবে।’

তিনি জানান, এসব বিলবোর্ড সাঁটানোর পুরো বুদ্ধিটাই মহাসচিবের। তিনিই বলেছেন, এর জন্য কোনো অনুমতি নিতে হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘প্রচারের জন্য আমরা পাঁচশ বিলবোর্ডের টার্গেট নিয়েছিলাম। কিন্তু সে পরিমাণ সাঁটানো হয়নি।’

বিলবোর্ড সাঁটাতে অনুমতি নেয়া হয়েছে কি না জানাতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিলবোর্ড ভাড়া নেয়া হয়েছে। কেন তাদের অর্থ আমরা পরিশোধ করব না?’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থার সংশ্লিষ্ট বিউটিফিকেশন বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো.ইউসুফ আলী সরদার বলেন, ‘যারা বিলবোর্ড দখল করেছে তাদের কেউ আমাদের থেকে অনুমতি নেয়নি। আমরা স্বল্প সময়ের জন্য কাউকে বিলবোর্ড ব্যবহারের অনুমতি দিই না।’



মন্তব্য চালু নেই