দিনাজপুরের কিছু খবর

বিরামপুর মুক্ত দিবসে আলোচনা সভা

দেশ ও স্বাধিকারের জন্য আমাদের দামাল ছেলেরা যৌবনের দুরন্ত সময়ে দেশ মাতৃকার টানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিঁয়ে পড়ে শত্রুদের কবল থেকে ৬ ডিসেম্বর দিনাজপুরের বিরামপুর মুক্ত হয়। স্বাধীন বাংলার আকাশে ওড়ে বিজয়ের পতাকা।
পাকসেনারা ৪ ডিসেম্বর পাইলট স্কুলের সন্মুখে ও ঘাটপাড় ব্রিজে প্রচন্ড শেলিং করে ভাইগড় গ্রাম দিয়ে তীরমনিতে ৪ টি শেল নিক্ষেপ করে। লোম হর্ষক ও সন্মুখ যুদ্ধে কেটরা হাটে ১৬ মুক্তি যোদ্ধা সহ ৭ পাক হানাদার বাহিনী নিহত হয় ।
দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে ৬ ডিসেম্বর বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে মুক্ত আলোচন সভায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লুৎফর রহমান শাহ এর সভাপতিতে বক্তব রাখেন, অধ্যক্ষ শিশির কুমার, অধ্যাপক আঃ রহিম, মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন,সাংবাদিক আব্দুর রশিদ, সাংবাদিক মাহমুদুল হক মানিকসহ আরও অনেকে বক্তব রাখেন, সমাবেশ ও শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

আটক ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ:
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক দুই বাংলাদেশি নাগরিককে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট এলাকা দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন-রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গদিপাড়া গ্রামের মৃত সোয়েবুর আলীর ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (২২) এবং ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলেন গ্রামের হারাধন সরকারের ছেলে শ্রী সঞ্জয় সরকার (২৫)। এর আগে, সীমান্তের বিএসএফ পোস্টে ভারতের হিলি বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার সাবইন্সপেক্টর সুনিল যাদব এবং বিজিবির হিলি সিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ সদস্যরা আটক দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দেন। বিজিবি হিলি সিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিএসএফ কর্তৃক ফেরত দেওয়া বাংলাদেশি দুই নাগরিককে যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে হাকিমপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

ঘোড়াঘাটে মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে র‌্যালী ও আলোচনা সভা:
শনিবার বেলা ১২টায় ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাদক নয়, মৃত্যু নয়, মাদক মুক্ত জীবন চাই, “এসো নেশা ছেড়ে কলম ধরি মাদক মুক্ত সমাজ গড়ি” শে¬াগান র‌্যালীটি ঘোড়াঘাট পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এক আলোচনায় সভায় ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ফরহাদ ইমরুল কাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন, অবসর প্রাপ্ত সিনিয়র এএসপি বরজাহান মিয়া। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ কোন মাদক দ্রব্য উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও শুধু মাত্র ভৌগলিক অবস্থানগত কারনে আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে এ দেশে বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাচালান হয়ে আসতে থাকে। ক্রমে ক্রমে তা ব্যাপক প্রসার লাভ করার মাধ্যমে এ দেশের যুব সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিরাট জনগোষ্ঠীকে মাদকাসক্ত করে তুলছে। যার ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সামাজিক বন্ধন ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন। অনেক মানুষই না বুঝে শুধুমাত্র ভ্রান্ত ধারনা থেকে কিংবা অ-সৎলোকের প্ররোচনায় ও আর্থিক প্রলোভনে মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে। মাদকাশক্তি থেকৈ পরিত্রানের জন্য ব্যক্তি ও পারিবারিক সচেতনতা ও ধর্মীয় মূল্য বোধের চর্চা যে কোন ব্যক্তি ও সমাজকে মাদক থেকে নিরাপদ রাখতে পারে। মাদক মুক্ত সমাজ গড়ি, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করি, মাদক ত্যাগ করি। নেশার ফাঁদে পড়বে যারা, সব হারিয়ে মরবে তারা। এতে বিশেষ অতিথি-বক্তব্য রাখেন, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আজাহার আলী, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম আকাশ, পৌর মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক আনভীল বাপ্পী প্রমূখ।



মন্তব্য চালু নেই