বিরামপুরে প্রধান শিক্ষকে লাঞ্চিত

দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলার কাটলা দ্বী-মূখী উচ্চবিদ্যালয়ে কমিটি গঠন ও শিক্ষক নিয়োগের দূর্নীতিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান শিক্ষকে লাঞ্চিত করেছে এক অভিভাবক। প্রধান শিক্ষকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে স্কুলের সহকারী শিক্ষকগন ক্লাস বর্জন করেন। ফলে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের কাছে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির অবসান দাবী করছে।

এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড়ধরনের সংর্ঘসে ঘটতে পারে।

কাটলা দ্বীমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে আসার পথে কোন কারন ছাড়ায় স্কুল গেটের সামনে আমার উপর আনিছুর নামে এক অভিভাবক হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় লোক জন আমাকে উদ্ধার করে ।

অভিভাক আনিছুর রহমান বলেন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইমদাদ হেসেন চৌধুরী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে মোটা টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগদেন। প্রধান শিক্ষক স্কুলে যোগদানের পর থেকে শুরু করে সভাপতি ইমদাদ হেসেন চৌধুরীর যোগসাজসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৮জন শিক্ষক নিয়োগ, টাকার বিনিময়ে স্কুলের দোকান বরাদ্ধ,ছাত্র-ছাত্রীদের কাছথেকে অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি, সেশন ফি,ফরম পূরন ফি, আদায় সহ বিভিন্ন প্রকার অপর্কমে যুক্ত হন। প্রধান শিক্ষক তার স্ত্রীর ভূয়া শিক্ষক নিবন্ধন দেয়ার কারনে তার স্ত্রীর চাকুরী চলে যায়।

স্কুলের অফিস সহকারী মমিনুর ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অন্যায় কাজে সহায়তা না করায় আমাকে অফিসের কোন কাজ করতে দেয়া না এবং জোরকরে আমার ১৫ দিনের বেতন কর্তন করে।

এ ব্যাপারে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম জিন্নাহ জানান, প্রধান শিক্ষক বিধি বহিরভূূূর্ত কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তার( প্রধান) শিক্ষকের গায়ে হাত তোলামোটেও ঠিক করেনী।

এবিষয়ে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এমদাদ হোসেন চৌধুরীরর সঙ্গে একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কাটলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম সামসুল আলম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন বা শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ার বিঘ্ন ঘটানো কারো উচিত নয়। তিনি দ্রুত এ পরিস্থিতির সমাধান চান।



মন্তব্য চালু নেই