বিপুল অর্থের বিনিময়ে মেঘনাকে রাখতে চেয়েছিল আমেরিকা!
বাড়ির বড় মেয়ে তিনি। বাবা-মায়ের আহ্লাদী মেয়ে, অসম্ভব মেধাবী। মেয়েকে কাছে পেতে চেয়েছিল খোদ আমেরিকা। কিন্তু দেশের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার কারণেই আমেরিকার ২৫ লাখ টাকার চাকরির অফার ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভারতের যোধপুরের মেঘনা সিং বর্তমানে রাজস্থানের নয় গোটা ভারতের গর্ব।
যে বয়সে মেয়েরা ফ্যাশন আইকন হতে চায় সে বয়সে মেঘনা বেছে নিয়েছেন সবচেয়ে কঠিন কাজ। মেঘনা বেছে নেন ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীতে মেয়েদের নিয়োগ তেমন বিশেষ না হলেও মেঘনার সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ঘটনা অবশ্যই বিশেষ। যোধপুরের মেঘনা সিং ভারতীয় স্থলসেনার লেফটেন্যান্ট। আপাতত তিনি চেন্নাইয়ে কঠোর ট্রেনিং নিচ্ছেন। আর্মির পরীক্ষায় পাস করা এমনিতেই বেশ কষ্টসাধ্য, কিন্তু মেঘনা জল, স্থল ও বায়ু, ভারতীয় সেনার তিনটি উইংয়ের পরীক্ষাতেই পাস করেছেন।
এর থেকেও বড় কথা হলো, মেঘনা ভারতীয় সেনায় কাজ করতে চান বলেই আমেরিকার আইটি কম্পানির লাখ টাকার চাকরি অবলীলায় ছেড়ে দিয়েছেন। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে মেঘনা আমেরিকার ম্যু সিগমা কম্পানিতে চাকরি পান। তার পারিশ্রমিক ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় বার্ষিক ২৫ লাখ টাকা। কম্পানির ব্যাঙ্গালুরুর অফিসেই চাকরি করছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই নাকি ভারতীয় সেনায় যোগ দেওয়ার ইচ্ছে ছিল মেঘনার।
মেঘনা চাকরির শুরুতেই যে পারিশ্রমিক পাচ্ছিলেন তা নাকি ভারতের সাংসদ-মন্ত্রীরাও পান না। মেঘনা চাইলে আরামে, বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারতেন। কিন্তু মেঘনা বরাবরই চাইতেন দেশের জন্য কিছু করতে। ঠাণ্ডাঘরে চার-পাঁচ মাস কাজ করলেও বরাবারই মেঘনার ভেতরে একটা অসহায়তা কাজ করত। মেঘনার মা চাইতেন তার মেয়ে পড়াশোনা করে হয় সরকারি কর্মকর্তা হোক বা সেনাবাহিনীতে যোগ দিক।
মন্তব্য চালু নেই