কক্সবাজারে বৃষ্টি ও হরতালে জমে উঠেনি থার্টিফার্স্ট নাইটের উৎসব

বিদায়ী সূর্যাস্তের দৃশ্যটা সৈকতে দেখতে পারেনি আগত পর্যটক ও স্থানীয়রা

কক্সবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও টানা দু’দিনের হরতালের কারণে জমে উঠেনি সৈকতে থার্টিফার্স্ট নাইটের উৎসব।

প্রতি বছরের ন্যায় থার্টি ফাস্ট নাইট উৎসব উদ্যাপনে এবারও প্রস্তুত ছিল কক্সবাজার। রয়েছে থার্টিফার্স্ট নাইট উপল্েয সৈকত ও হোটেলগুলোতে নানা আয়োজন। সব আয়োজন ঠিক থাকলেও ঠিক ছিল না প্রকৃতির আবহাওয়া। এতে সকাল থেকে দেখা যায়নি সূর্য । যার কারণে বিদায়ী সূর্যাস্ত থেকে বঞ্চিত ছিল কক্সবাজার আগত হাজার পর্যটক আর স্থানীয়রা।
এছাড়া জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ড রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতের টানা ২ দিনের হরতালের প্রভাব পড়েছে বিশ্বদির্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।
হরতালের কারণে হোটেলে বুকিং দিয়েও অনেক পর্যটক বুকিং বাতিল করেছেন।
আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সূত্রে জানাগেছে, সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেলে বর্তমানে ধারণ মতা দেড় লাখ। ৩১ ডিসেম্বর সবার অগ্রিম বুকিংও ছিল। একই সঙ্গে বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল, ফ্যাটসমূহে আরো ৫০ হাজার মানুষ থাকবে, তাও বুকিং হয়েছিল। কিন্তু হরতালের কারণে ২৮ ডিসেম্বর অনেক পর্যটক তাদের বুকিং ছেড়ে দিয়েছে।’

এদিকে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক ওনার্স এসোসিয়েশন সুত্রে জানা গেছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে পর্যটকের আনন্দ দিতে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। বেসরকারি টেলিভিশনের উদ্যোগে আইয়ুব বাচ্চু, জেমসসহ দেশখ্যাত শিল্পীদের উপস্থিতিতে রয়েছে সৈকতে পৃথক ওপেন কনসার্ট। একই সঙ্গে আইডলসহ অন্যান্য শিল্পীদের উপস্থিতিতে রয়েছে আরো নানা অনুষ্ঠান।

এসএটিভির ওপেন কনসার্টে নগর বাউলের জেমস, মিলা, বাংলাদেশ আইডলের শীর্ষ ১০ জন অংশ নেবে। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রসার করা হবে। তবে হরতালের কারণে পূর্ব নির্ধারিত বেশ কিছু অনুষ্ঠান ইতোমধ্যে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন জানান, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উপল্েয কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কয়েকটি বড় অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এদের নিরাপত্তার জন্য সকল প্রস্তুতিও ছিল প্রশাসনের।’



মন্তব্য চালু নেই