বিটিসিএলের ‘ডট বিডি’ ডোমেইন হ্যাক!

গতকাল রাত থেকেই ব্রাউজার দিয়ে গুগলে ঢুকতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়েছেন অনেকেই। দেখা যাচ্ছিল গুগল সার্চ দিলে তা রিডাইরেক্ট হয়ে চলে যাচ্ছে একটি ফেসবুক পেইজে।

এই বিরক্তিকর সমস্যার কারণ হলো বাংলাদেশের ‘ডট বিডি’ ডোমেইন হ্যাক করা হয়েছিল। ১৭ ঘণ্টা পরও হ্যাকারের হাত থেকে ডোমেইকে পুরোপুরি মুক্ত করতে পারেনি বিটিসিএল!

আকাশ নামের ওই বাংলাদেশি তরুণ হ্যাকার ডট বিডি ডোমেইনের মোট চারটি ওয়েবসাইট হ্যাক করেন। সাইটগুলো হলো, robi.com.bd, সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের বাংলাদেশ ডোমেইন google.com.bd, বাংলালিংকের banglalink.com.bd এবং ittefaq.com.bd। সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বিটিসিএলের উদাসীনতা এবং অযোগ্যতাকে সবার সামনে প্রকাশ করতেই তার এই ‘উদ্যোগ’।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “কোনো ব‌্যবহারকারী ডট বিডি ডোমেইনের কোনো ওয়্সোইট দেখতে চাইলে তার সার্চ কোয়েরি বিটিসিএল এর গেটওয়ে দিয়ে যায়। নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণে কেউ যদি বিটিসিএল এর ডিএনএস এন্ট্রিতে ঢুকতে পারেন এবং কোনো ওয়্সোইটের তথ‌্য রিডাইরেক্ট করে দেন তাহলে ব‌্যবহারকারীরা আর সেই ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারেন না। তাদের সার্চ কোয়েরি ল‌্যান্ড করে হ‌্যাকারের ঠিক করে দেওয়া ওয়েবসাইটে।

এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর এক পাকিস্তানি হ্যাকার google.com.bd এর পথ বদলে দিয়েছিলেন। সেদিন এক নোটিসে তিনি লিখেছিলেন, Security is just an illusion। এবারের হ্যাকার আকাশ নামের সেই বাংলাদেশি তরুণ তার ফেসবুক ওয়ালে হ্যাকিংয়ের দায় স্বীকার করে লিখেছেন, “পাকিস্তানি হ্যাকার লজ্জা দিয়ে যায়, তবুও শিক্ষা হয় না। কথায় আছে, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল বাঁকা করতে হয়। তাই বছরের শেষ দিনে #31st এ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছি।”

উল্লেখ্য, পাকিস্তানি হ্যাকারের হামলার ওই ঘটনার পর বিটিসিএলের টনক নড়েনি। আকাশ নামের ওই ব্যক্তি ফেসবুকে দাবি করেছেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর BTCL এ ঢুকে নিরাপত্তা ত্রুটি দেখে টেলিফোন করে তিনি সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তাতেও ঘুম ভাঙেনি বিটিসিএলের। তার ভাষায়, “ফলাফল, গত ২০ ডিসেম্বর, পাকিস্তানি হ্যাকার হ্যাক করে বসলো। মনে মনে ভাবি, যে দেশের মধ্যেই যখন নিরাপত্তা নিয়ে উদাসীনতা, তখন যদি বাইরে থেকে আক্রমণ করে লজ্জা দেয়, তাহলে দোষ কার? দোষ যাদের বিটিসিএলের নিরাপত্তা/ত্রুটি নিয়ে অবহেলা করছে। ”

শেষে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও তথ‌্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীকে সবার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়ে আকাশ তার বার্তা শেষ করেছেন ‘জয় বাংলা’ বলে।

তবে এ ব্যাপারে বিটিসিএলের কেউ মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই