বিজ্ঞানীদের মতে ইনিই সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা! দেখে নিন তাঁর আসল ছবি…
সৌন্দর্যের কি সত্যিই মাপকাঠি হয় কোনও, বিশেষত মানুষের সৌন্দর্যের? এতকাল তো জানা ছিল, সৌন্দর্যের ধারণা এক এক জনের কাছে এক এক রকমের। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই চেষ্টা করেছেন, সৌন্দর্যের কিছু সর্বজনীন লক্ষণ আবিষ্কার করার। ২০০৯ সালে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায় সেই প্রচেষ্টাই একটি সুস্পষ্ট দিশা পায়। একগুচ্ছ মহিলার ছবি দেখিয়ে দর্শকদের জিজ্ঞাসা করা হয়, এঁদের মধ্যে কাকে তাঁরা সবচেয়ে সুন্দরী বলে মনে করছেন? বেশিরভাগ মানুষের উত্তর সংগ্রহ করে মহিলাদের মুখের সৌন্দর্যের কিছু বৈশিষ্ট্য খাড়া করেন গবেষকরা।
এবার এই মাপকাঠি ধরে শুরু হয় সুন্দরীতমাকে খুঁজে বের করার অভিযান। ২০১২ সালে ব্রিটেনে ‘লোরেন: নেকেড’ বলে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শর্ত ছিল, কেবলমাত্র ন্যাচারাল বিউটির অধিকারী যাঁরা, অর্থাৎ যাঁরা কোনও রকম প্লাস্টিক সার্জারি বা কসমেটিক সার্জারির সাহায্য নেননি নিজেদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে, কেবল তাঁরাই অংশগ্রহণ করতে পারবেন প্রতিযোগিতায়।
এই শর্ত মেনে সারা দেশ থেকে ৮ হাজার মহিলা নিজেদের মেক-আপ বিহীন মুখের ছবি পাঠান প্রতিযোগিতার জন্য। তাঁদের মধ্যে থেকে সবচেয়ে সুন্দরী বলে নির্বাচিত হন ১৮ বছরের ফ্লোরেন্স কোলগেট।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ফ্লোরেন্সের সৌন্দর্যকে বৈজ্ঞানিক মাপকাঠির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে চলে। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছিল, কোনও মহিলার দু’টি চোখের মণির যা দূরত্ব, তা যদি তাঁর দুটি কানের মধ্যবর্তী দূরত্বের ৪৬ শতাংশ হয়, তাহলে তাঁকে সবচেয়ে সুন্দর দেখতে লাগে। ফ্লোরেন্সের ক্ষেত্রে সেই দূরত্ব ৪৪ শতাংশ।
আবার যিনি আদর্শ সুন্দরী হবেন, তাঁর দু’টি চোখ থেকে তাঁর ঠোঁটের দূরত্ব তাঁর মুখের লম্বালম্বি দৈর্ঘ্যের এক তৃতীয়াংশ হবে। ফ্লোরেন্সের ক্ষেত্রে সেই মাপ তাঁর মুখের দৈর্ঘ্যের ৩২.৮ শতাংশ। এছাড়াও সৌন্দর্যের যেসব সনাতন লক্ষণ, সেগুলিও ফ্লোরেন্সের মুখশ্রীতে বিদ্যমান। যেমন, বড় চোখ, স্ফীত গালের হাড়, এবং কমনীয় ওষ্ঠাধর।
ব্রিটেনের একটি সামান্য শহরের বাসিন্দা ফ্লোরেন্স ক্যান্টারবেরি ক্রাইস্ট চার্চ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। পাশাপাশি সপ্তাহে দু’দিন করে একটি ফিশ বারে তিনি কাজ করতেন। সেই বারের নিয়মিত খদ্দের যাঁরা, এবং ফ্লোরেন্সের আত্মীয় বন্ধুরা তাঁকে উৎসাহিত করেন এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য।
দেশের সুন্দরীতমার শিরোপা জোটায় স্বভাবতই খুশি ফ্লোরেন্স। মডেলিং-এর প্রচুর অফার ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে তাঁর কাছে। ফ্লোরেন্স জানাচ্ছেন, তিনি নারীর স্বাভাবিক সৌন্দর্যে বিশ্বাসী। বর্তমানে যখন চতুর্দিকে প্লাস্টিক সার্জারি আর কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমে চেহারার খুঁত সংশোধন করার হি়ড়িক পড়ে গিয়েছে, তখন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সপক্ষে ফ্লোরেন্সের তোলা এই সওয়াল, নিঃসন্দেহে তাঁকে ব্যতিক্রমী অবস্থান দিয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই