বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে যা বললেন খালেদা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য ছিল আজ। এদিন বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে খালেদা আদালতে উপস্থিত হন। দীর্ঘ শুনানির পর বিচারক খালেদা জিয়াকে তিনটি প্রশ্ন করেন।

প্রশ্নের শুরুতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনি যা পাঠ করেছেন আমি শব্দের জন্য কিছুই শুনি নাই। আমার আইনজীবীরা আপনার প্রতি অনাস্থা দিয়েছেন। আমিও এখন আনুষ্ঠানিকভাবে আপনার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করলাম।’ এরপর বিচারক খালেদাকে প্রশ্ন করা শুরু করেন।

প্রথমে তাকে (খালেদা) প্রশ্ন করেন, আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও ৩২ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন, এতে আপনি দোষী না নির্দোষ। উত্তরে খালেদা বলেন, আমি এখন কোনো বক্তব্য দেবো না।

দ্বিতীয় প্রশ্ন, আপনি মামলায় কোনো সাফাই সাক্ষী দেবেন কিনা? উত্তরে খালেদা বলেন, আমি আমার বক্তব্যে সব বলবো।

তৃতীয় প্রশ্ন, আপনি আর কোনো বক্তব্য দেবেন কিনা? উত্তরে খালেদা বলেন, আমাকে সময় দিলে আমি আমার বক্তব্যে সব বলবো।

এ সময় বিচারক তাকে আত্মপক্ষের সমর্থনের ফরমে স্বাক্ষর করতে বললে তিনি কোনো স্বাক্ষর করতে রাজি হননি। তখন বিচারক মামলার আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার সাফাই সাক্ষীর জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এর আগে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন করেন খালেদার আইনজীবী। আদালত আদেশের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছিলেন। শুনানি শেষে পুনঃতদন্তের আবেদনটি খারিজ করে দেন।

ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার আদালতে মামলাটি বিচারাধীন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)।



মন্তব্য চালু নেই