বিগ বাজেট, তবু ফ্লপ হয়েছে বলিউডের যে সিনেমাগুলো
ছোট, মাঝারি বা বড় বাজেট হোক, সব মিলিয়ে বছরে ১ হাজারেরও বেশি ছবি মুক্তি পায় বলিউডে। শুধু তাই না, এখন অন্য দেশেও আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তি পাচ্ছে বলিউডের ছবি। বিগ বাজেটের ছবিগুলি নিয়ে প্রিমিয়ারেই একটা উন্মাদনা তৈরির চেষ্টা করেন পরিচালক, নির্মাতারা। প্রিমিয়ারেই বাজিমাত করে অনেক বিগ বাজেটের ছবি। এমন এনেক বিগ বাজেটের ছবি আছে যগুলো প্রিমিয়ারে বাজিমাত করলেও, মুক্তি পাওয়ার পর সে ভাবে দর্শকদের মন কাড়তে পারেনি। সেই ফ্লপ বিগ বাজেটের ছবি কোনগুলি এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
বম্বে ভেলভেট-
রণবীর কপূর, অনুষ্কা শর্মা অভিনীত এই ছবিটি পরিচালনা করেন অনুরাগ কাশ্যপ। বম্বে ভেলভেটকে শতাব্দীর সেরা ফ্লপ হিসাবেও আখ্যা দেওয়া হয়। ১২০ কোটি টাকা বাজেটের এই ছবির বক্স অফিস কালেকশন মাত্র ৩১ কোটি টাকা।
রয়-
এই ছবিতেও রণবীর কপূর অভিনয় করেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন জ্যাকলিন। ৪৪ কোটি টাকা বাজেটের
এই ছবিটি মাত্র ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা করতে পেরেছিল।
আগ-
শোলে’র রিমেক আগ এর আর এক নাম রাম গোপাল বর্মা কি আগ। অমিতাভ বচ্চন, অজয়
দেবগণ এবং আরও অনেকে ছিলেন এই ছবিতে। আগ এর বক্স অফিস কালেকশনও ছিল খুবই খারাপ।
দ্রোনা-
দ্রোনা তে অভিনয় করেছিলেন জুনিয়র বচ্চন। ৬০ কোটি টাকা বাজেটের এই ছবি বাজার থেকে অর্ধেক টাকাও তুলতে পারে নি।
বীর-
সলমন খানের ফ্লপ ছবিগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে বীর। বীর-এ সল্লু মিঞা এক
যোদ্ধার অভিনয় করলেও বক্স অফিসের যুদ্ধে এই ছবিটি হেরে গিয়েছিল।
যুবরাজ-
সুভাষ ঘাই পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন অনিল কপূর, সলমন খান এবং আরও অনেকে।
৫০ কোটি টাকা বাজেটের এই ছবির বক্স অফিস কালেকশন ছিল মাত্র ১৬ কোটি টাকা।
কাইটস-
অনুরাগ বসু পরিচালিত এই ছবিটির প্রযোজক ছিলেন রাকেশ রোশন। হৃতিক রোশন এবং বারবারা মোরি
কাইটস এ অভিনয় করেছেন। ৬০ কোটি টাকা বাজেটের এই ছবিটি বাজার থেকে মাত্র ৪৯ কোটি টাকা তুলতে পেরেছিল।
হিম্মতওয়ালা-
অজয় দেবগণ এর জীবনের ফ্লপ ছবিগুলোর মধ্যে হিম্মতওয়ালা অন্যতম। এই ছবিটির পরিচালক সাজিদ খান।
মাত্র ৪৭ কোটি টাকার ব্যবসা হিম্মতওয়ালা করেছিল যেখানে বাজেট ছিল ৭০ কোটি টাকা।
গুজারিশ-
গুজারিশ সমালোচক দের মধ্যে আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু দর্শকদের মধ্যে কোনও আলোড়ন ফেলতে পারেনি।
সঞ্জয় লীলা বনশালী এই ছবিটি নির্মান করেন এবং অভিনয় করেন হৃতিক।
লাভ স্টোরি ২০৫০-
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ও হারমান বাবেজা অভিনীত সায়েন্স ফিকসন ‘লাভ স্টোরি ২০৫০’।
অন্য ধরনের প্রচেষ্টা হলেও ছুঁতে পারেনি দর্শকের মন।
সাওয়ারিয়া-
রণবীর কপূর এবং সোনম কপূরের প্রথম ছবি ‘সাওয়ারিয়া’। সলমন খান কেও দেখা গেছে এই ছবিতে। সাওয়ারিয়ার সঙ্গে একই দিনে মুক্তি পেয়েছিল শাহরুখ খানের ওম শান্তি ওম। আর মূলত সেই জন্যই দর্শকরা হলমুখী হয়নি দুই জন নিউকামারকে প্রথমবার দেখতে।
চাঁদনি চক টু চায়না-
এই ছবিতে অভিনয় করছেন অক্ষয় কুমার ও দীপিকা পাড়ুকোন। অক্ষয় কুমারের মার্শাল আর্টস অনেকের মন মাতালেও সেভাবে ব্যবসা করতে পারেনি চাঁদনি চক টু চায়না। এই ছবির বক্স অফিস কালেকশন ছিল মাত্র ৫০ কোটি টাকার মত, যেখানে ছবিটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৮০ কোটি টাকা।
রা-ওয়ান-
বিগ বাজেটের এই ছবিটিতে সুপারহিরো’র ভূমিকায় দেখা গিয়েছে শাহরুখ খানকে। সঙ্গে ছিলেন করিনা কপূর ও অর্জুন রামপাল। ১৩০ কোটি টাকার এই ছবি মাত্র ১১৪ কোটি টাকার ব্যবসা করতে পেরেছিল।
হামশকলস-
সাজিদ খান পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন সইফ, বিপাশা,
রীতেশ এবং তামান্না। বিগ বাজেটের এই ছবিটি সেভাবে ব্যবসা করতে পারেনি।
ফ্যান-
শাহরুখ খানের এই ছবির ফ্যান হতে পারেননি দর্শকরা। আর সেই কারণেই ছবিটি রমরমিয়ে চলেনি সিনেমা হলগুলোয়।
শানদার-
ক্যুইন-এর পর থেকে পরিচালক বিকাশ বহেলের ছবি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল আলাদা উন্মাদনা। কিন্তু শাহিদ কপূর ও আলিয়া ভট্ট অভিনীত শানদার সেই আশায় জল ঢেলেছিল। এই ছবিটিও বিগ বাজেটের এবং সেই তুলনায় কিছুই ব্যবসা করতে পারেনি শানদার।
মহেঞ্জোদাড়ো-
আশুতোষ গোয়ারিকারের প্রত্যেক ছবির মত এটিও ইতিহাসের পাতা থেকে সাজানো। হৃতিককে দেখা গিয়েছে হরপ্পা মহেঞ্জোদাড়োর সময়কালে পাড়ি দিতে, সঙ্গে নবাগতা পূজা হেগড়ে তাঁর সঙ্গ দিয়েছেন। ইতিহাস নির্ভর ছবি সব সময়ই বিগ বাজেটের হয়। কিন্তু ব্যবসার দিক থেকে ছবিটি বিন্দু মাত্র সফল হতে পারেনি।
বার বার দেখো-
সিদ্ধার্থ মালহোত্র এবং ক্যাটরিনা কইফ অভিনীত এই ছবিও বড় বাজেটের একটি ছবি। তবে দর্শকরা বার বার নয় একবারও দেখতে যাননি বার বার দেখো। ফলে খুব তাড়াতাড়িই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়তে হয় এই ছবিকে।
মিরজিয়া-
রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার মিরজিয়া-তে প্রথম বার দেখা যায় হর্ষবর্ধন কপূর ও সাইয়ামি খের কে। এই বছরেই পুজোর সময় মুক্তি পায় ছবিটি। গুলজার এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন। মাত্র ১১ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই ছবিটি। যেখানে মিরজিয়ার বাজেটে ছিল একটা বড় টাকার অঙ্ক। -আনন্দবাজার।
মন্তব্য চালু নেই